গ্রেটার নয়ডার জেপি গ্রিনস সোসাইটিতে দুই চীনা গুপ্তচর কে আশ্রয় দেওয়ার জন্য আটক যুবক। বেটা -২ কোতোয়ালি পুলিশ অভিযুক্ত ক্যারিকে গুরুগ্রামের একটি পাঁচতারা হোটেল থেকে এক মহিলা বন্ধুর সাথে গ্রেপ্তার করেছে।
সন্দেহভাজন চীনা গুপ্তচরদের আটকের অভিযোগে নয়ডা পুলিশ তাদের কথিত বন্ধু কেরিকে গুরুগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করেছে। সোমবার গৌতম বুদ্ধ নগর জেলার বেটা-২ কোতোয়ালি পুলিশ গুরুগ্রামের একটি পাঁচতারা হোটেল থেকে তার বান্ধবী সহ চীনা গুপ্তচরদের সাহায্য করার অভিযোগে অভিযুক্ত ক্যারিকে গ্রেফতার করেছে। এসময় তার কাছ থেকে ভুয়া ভিসা ও বেশ কয়েকটি ভারতীয় সিম কার্ডও উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, ক্যারি নয়ডা-গ্রেটার নয়ডায় একটি ক্লাব এবং বেশ কয়েকটি কারখানা পরিচালনা করতেন। গুপ্তচরবৃত্তির সন্দেহে পুলিশের বেশ কয়েকটি দল তাকে নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। তার অন্য সহযোগীদের তথ্যও সংগ্রহ করছে পুলিশ।
পাসপোর্ট-ভিসা ছাড়া কাঠমান্ডু হয়ে ভারতে আসা দুই চীনা নাগরিক শনিবার সন্ধ্যায় বিহারের সীতামারহিতে নেপাল সীমান্তে ধরা পড়েন। তাদের নাম লু ল্যাং এবং ইউন হেলাং। তাদের সুরসান্দ থানা এলাকায় রাখা হয়েছে। তাদের দুজনকেই চীনা গুপ্তচর বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, তারা গত ২৪ জুন জালিয়াতি করে ভারতীয় সীমান্তে প্রবেশ করেছিল। এরপর ট্যাক্সি করে সোজা চলে আসেন নয়ডায়। নয়ডায় ১৮ দিন থেকেছিলেন এবং শনিবার এখান থেকে আবারও ফিরে যাচ্ছিলেন। গোপনে এভাবে নয়ডায় এসে থাকার পেছনে উদ্দেশ্য কী ছিল? সীমান্ত পুলিশের সাথে কাজ করা নিরাপত্তা সংস্থাগুলি এই বিষয়টি তদন্ত করছে।
তদন্তকারী কর্মকর্তাদের বক্তব্য অনুযায়ী, ২৩শে মে তারা দুজনেই থাইল্যান্ড হয়ে কাঠমান্ডুতে এসেছিলেন। তারপর ২৪শে মে সেখান থেকে ভারতীয় সীমান্তে প্রবেশ করেন। এর পরে তিনি নয়ডায় তার বন্ধু ক্যারির কাছে পৌঁছন এবং প্রায় ১৭-১৮ দিন এখানে ছিলেন। দুজনেই ফিরে যাওয়ার জন্য বেছে নিয়েছিলেন সীতামারহি জেলার সীমান্ত। সীমান্ত পেরিয়ে নেপাল ও পরে চীনে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল। তারা দুজনই আর্থিক জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
উভয় গুপ্তচর গ্রেটার নয়ডার জেপি গ্রিন সোসাইটিতে বসবাস করছিলেন।
ভারত-নেপাল সীমান্তে SSB-এর হাতে ধরা পড়া দুই চীনা গুপ্তচর গ্রেটার নয়ডার জেপি গ্রিন সোসাইটিতে অবস্থান করছিলেন। Jaypee Greens Society আলফা এ সেক্টরের কাছে অবস্থিত। দুজনেই এখানে গলফ খেলেছেন। এখন পর্যন্ত তদন্তে দেখা গেছে, দুজনের থাকার ব্যবস্থা করেছিলেন তাদের বন্ধু। ওই বন্ধুর নাম বলা হচ্ছে ক্যারি। তবে সোসাইটির ফ্ল্যাট নম্বর এখনো পায়নি পুলিশ। চীনা গুপ্তচরের বন্ধুর কাছে পৌঁছানোর জন্য নয়ডায় আসা নাগরিকদের তথ্য খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
পুলিশ জেপি গ্রিনস সোসাইটিতে স্থাপিত সিসিটিভি ফুটেজও স্ক্যান করছে যাতে এখানে থাকাকালীন দুই চীনা গুপ্তচরের কার্যকলাপ কী ছিল সেই বিষয়ে ধারণা পাওয়া যায়।