মদের নেশায় মাতলামি করে এমন অনেক মদ্যপ ব্যক্তি আছে। কিন্তু এই ঘটনা একেবারেই অদ্ভুত। দুই যুবক মালা বদল করলেন। মন্দিরে বিয়ে সারলেন। না এটা ঠিক প্রেমের বিয়ে নয়। মদের ঘোরে তারা এই কান্ড ঘটিয়েছেন। এরপরে নেশা কাটতেই দেখা দিল বিপত্তি। জানুন পুরো ঘটনাটা।
এমনই অদ্ভুত কাণ্ডের সাক্ষী থাকলো তেলেঙ্গানা (Telengana) রাজ্য। সঙ্গরেড্ডি জেলার যোগীপেত অঞ্চলের ২১ বছর বয়সী যুবক ও মেদাক জেলার চন্দুরের ২২ বছর বয়সি যুবক একত্রে গত মাসে বসেছিল মদের আসরে। চন্দুরের বাসিন্দা ওই যুবক পেশায় ছিল অটো চালক। আর অপর জন কিছুই করেন না। গ্রামের একটা দোকানে যাতায়াতের সূত্র সখ্যতা এই দুই যুবক এর। মাঝেমধ্যেই একত্রে মদ্যপান করতেন। এইভাবে সেই দিনও আসর জমিয়েছিলেন। চলতে থাকে মদ্যপান। মদের নেশা বাড়তে বাড়তে এমন জায়গায় পৌঁছয় তারা যে দিগ্বিদিক জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। মদের ঘোরে তারা একে অপরকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন। ব্যাস! অমনি চলে আসেন এক মন্দিরে। সূত্র অনুযায়ী থালা দিয়ে তৈরি একটি মালা দিয়েই মালা বদল করে তারা একে অপরকে বিয়ে করে নেন। যোগীনাথ গুট্টা মন্দিরে হয়েছিল এই বিয়ে। এরপরে যখন তাদের হুঁশ ফিরল ততক্ষনে কি কান্ড ঘটিয়ে ফেলেছেন সেটা বুঝতে পেরে যে যার বাড়িতে মানে মানে ফিরে চলে যান।
এরপর কেটে যায় বেশ অনেকদিন। বিষয়টি নিয়ে কোন কথাবার্তা শোরগোল কিছুই হয়নি। কিন্তু হঠাৎই বেকার আরেক যুবক চন্দুর নিবাসী ওই যুবকের বাড়িতে হাজির হন। তাকে বাড়িতে ঢুকতে দিতে রাজি হন না চন্দুরের যুবক। রেগে গিয়ে যোগীপেতের ওই যুবক সোজা পৌঁছে যায় পুলিশের কাছে। পুলিশ তাঁদের বিষয়টি নিজেদের মধ্যে মিটিয়ে নিতে পরামর্শ দেন। এরপরে থানার বাইরে এই নিয়ে মিটমাট করার চেষ্টা করে দুই পক্ষ। বেকার যুবকটির সাফ কথা, আপনাদের ছেলেকে ছেড়ে দিতে পারি কিন্তু বিয়ে করার জন্য করার জন্য খোরপোশ দিতে হবে। খোরপোশ হিসেবে দাবি করে এক লক্ষ টাকা। এত টাকার দাবি মানতে চায়না আরেক পরিবার। শেষমেষ দশ হাজার টাকায় রফা হয়। এই ভাবে মদের নেশায় কৃতকর্ম এর সমাধান হয়। এই ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর থেকে আশেপাশের এলাকায় জোর চর্চা হচ্ছে। এমনকি চর্চা হচ্ছে নেটিজেনদের মধ্যেও। মদের নেশা করার আগে ভাবনা-চিন্তার করার কথা বলছেন সকলে।