Dainik Sangbad – দৈনিক সংবাদ
Image default
FEATURED ট্রেন্ডিং

স্বামী বেকার, দুধের খরচ নিয়ে শাশুড়ির খোঁটা! ১৫ দিনের যমজ সন্তানকে মেরেই ফেললো মা!

ভোপালে নিখোঁজ যমজ শিশুর মৃতদেহ পাওয়া গেছে। চাঞ্চল্যকর ভাবে অনুমান করা হচ্ছে যে সন্তানদের খুন করেছে খোদ মা। খুনের কারণটাও এমন ছিল যে শুনলে মনটা ভারাক্রান্ত হয়ে যায়। অভিযুক্ত মাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মা হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। খুনের পেছনের কারণ হিসাবে শ্বশুরবাড়ির কটূক্তি ও দারিদ্র্যই সামনে এসেছে। মহিলাটি যমজ শিশু দুটির শ্বাসরোধ করে হত্যা করে এবং ঝোপের মধ্যে ফেলে দেয়। এরপর জিজ্ঞাসাবাদে ওই নারী পুলিশকে বিভ্রান্ত করতে থাকেন। এরপর তিনি নিজেই পুলিশকে ঘটনাস্থলে নিয়ে যান।

চুনা ভাট্টি এলাকার কলার কলোনি বসতিতে পরিবারের সঙ্গে থাকেন স্বপ্না ধাকড়। তিনি অতীতে তার যমজ সন্তান নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছিলেন। এই অভিযোগের ভিত্তিতে টিটি নগর থানার পুলিশ যমজ সন্তানদের অপহরণের জন্য অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে। পুলিশ স্বপ্নাকে তার যমজ সন্তান সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করলেও সে ৪ দিন ধরে পুলিশকে বিভ্রান্ত করে চলেছে।

সাইকোলজি কাউন্সেলিং এবং বিশেষজ্ঞদের সাহায্যে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে, স্বপ্না তার ১৫ দিন বয়সী যমজ ছেলেকে হত্যা করার কথা স্বীকার করে। ২৩ শে সেপ্টেম্বর শিশুরা নিখোঁজ হয়। স্বপ্না পুলিশকে জানান যে সে বেরাসিয়ায় তার মাতৃগৃহে যাচ্ছিলেন। মাতা মন্দির হয়ে পায়ে হেঁটে রংমহল মোড়ে পৌঁছান। সেখান থেকে তার সন্তান নিখোঁজ হয়। ২০১৭ সালে ব্রিজমোহন ধাকাদের সঙ্গে স্বপ্না বিয়ে করেন। সম্প্রতি জেপি হাসপাতালে তার যমজ সন্তান হয়েছে।

টিটি নগর থানার ইনচার্জ চেইন সিং রঘুবংশী জানিয়েছেন, যখন স্বপ্নাকে খুনের কারণ জানতে চাওয়া হয়, তখন তার উত্তরে সবাই হতবাক হয়ে যায়। পুলিশকে সে জানায়, ঘটনার একদিন আগে শাশুড়ি, শ্বশুর ও স্বামীর সঙ্গে তার ঝগড়া হয়। তার স্বামী ছিলেন বেকার। শ্বশুরবাড়িই তাদের খরচ চালাতো। এরই মধ্যে তার যমজ সন্তান হয়। আর্থিক অনটনের কারণে বাড়িতে প্রতিদিনই ঝগড়া হতো। ঘটনার একদিন আগেও যমজ সন্তানকে কীভাবে মানুষ করা যায়, সেই একই বিষয় নিয়ে বাড়িতে ঝগড়া হয়েছিল। শাশুড়ি তাকে প্রতিদিন ঠাট্টা করতেন। পুলিশকে স্বপ্না আরও জানান, ৬ মাস আগে তার স্বামীর দুর্ঘটনা ঘটে। এরপর থেকে স্বামী বেকার হয়। সংসারের দায়িত্ব পড়ল দেওর ভাসুরের ওপর। সংসার দেখভাল করছিলেন জেঠ। শ্বশুরবাড়ির লোকজন বলত, আগে থেকেই একটা মেয়ে আছে, দারিদ্র্যের কারণে সংসার চালাতে পারছে না, স্বামী বেকার, এমন অবস্থায় ছেলে দুটোকে দেখবে কী করে। তাই এমন পদক্ষেপ।

Related posts

ডেল্টা প্রজাতির কারণে মারাত্বক হারে বাড়ছে সংক্রমন, প্রতি বাড়ির দরজায় লোহার বেড়া বসাচ্ছে চিন

News Desk

সোনু সুদের নাম করে সোশ্যাল মিডিয়ায় টাকা তোলার অভিযোগ, সতর্ক করলেন সোনু নিজেই

News Desk

কিছুতেই বদলাচ্ছে না দেশের কোভিড পরিস্থিতি! বেড়েই চলেছে করোনা সংক্রমণ

News Desk