১৯ বছর বয়সী এক মেয়ে যমজ সন্তানের জন্ম দিয়েছে। বিশেষ ব্যাপার হলো এই যে এই দুই সন্তানের বাবাই আলাদা। আসলে, একই দিনে উভয় পুরুষের সাথে মেয়েটির সম্পর্ক হয়। তবে একই সময়ে দুটি ভিন্ন পুরুষ থেকে গর্ভবতী হওয়ার ঘটনা খুবই বিরল।
ঘটনাটি পর্তুগালের গোয়াস রাজ্যের। এখানকার মিনেরোস শহরে এক তরুণী যমজ সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে ওই মা বলেন, শিশু দুটির বয়স যখন ৮ মাস, তখন তাদের ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়।
পরীক্ষার ফলাফল হতবাক ছিল। যে ব্যক্তিকে উভয় সন্তানের পিতা বলে মনে করা হয়, তার আসলে একটিই সন্তান ছিল। দ্বিতীয় সন্তানের রিপোর্ট তার ক্ষেত্রে নেগেটিভ এসেছে।
মেয়েটি বলল- সেই সময় আমার মনে পড়ল একই দিনে আমি অন্য আরেকজনের সাথে সম্পর্ক গড়েছিলাম। এই ব্যক্তির ডিএনএ অন্য একটি শিশুর ডিএনএর সঙ্গে মিলেছে। আমি এই ফলাফল দেখে হতবাক। আমি জানতাম না যে এটি ঘটতে পারে এবং যদিও উভয় বাচ্চা দেখতে একই রকম।
তবে জন্ম সনদে উভয় সন্তানের পিতা হিসেবে একই ব্যক্তি উল্লেখ রয়েছে। তিনি বললেন- ও বাচ্চা দুটোর দেখাশোনা করে। আর উভয় সন্তানের লালনপালনেও অনেক সাহায্য করেন।
অস্বাভাবিক গর্ভধারণ নিয়ে গবেষণা করছেন এমন ডাঃ তুলিও জর্জ ফ্রাঙ্কো বলেন, এখন পর্যন্ত বিশ্বে এমন মাত্র ২০টি ঘটনা ঘটেছে, যেখানে যমজ সন্তানের বাবা আলাদা আলাদা। বিজ্ঞানীদের ভাষায় এই অবস্থাকে বলা হয় হেটেরোপ্যারেন্টাল সুপারফেকুন্ড্যাটিও।
এক্ষেত্রে বলা হয়, একটি মহিলার ২টি ডিম বিভিন্ন পুরুষ দ্বারা নিষিক্ত হয়। পর্তুগালের নিউজ আউটলেট জি 1 এর সাথে কথোপকথনে, এই ডাক্তার বলেছিলেন যে একই মায়ের দুটি ডিম ভিন্ন পুরুষের দ্বারা নিষিক্ত হলে এই ধরনের গর্ভাবস্থা ঘটে। তিনি আরও বলেন- মেয়েটির গর্ভধারণ একেবারে স্বাভাবিক ছিল। উভয় শিশুই সম্পূর্ণ সুস্থভাবে জন্মগ্রহণ করেছে এবং এখন পর্যন্ত তাদের উভয়েরই কোনো স্বাস্থ্য সমস্যা হয়নি।
ডাক্তার বললেন- এটা খুবই বিরল ঘটনা। আমি কখনই ভাবিনি যে আমি নিজে এমন মামলার সাক্ষী হতে পারব। এ সপ্তাহেই বিষয়টি প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন চিকিৎসক। যমজ সন্তানদের বয়স এখন ১ বছর ৪ মাস।