‘পাশবিক’ শব্দটা যতই নৃশংসতা বোঝাতে ব্যবহৃত হোক, মাঝে মাঝেই এমন সব ঘটনার নজির সামনে আসে তেমন কাজ পশুদের পক্ষেও করা সম্ভব নয়। সম্প্রতি রাজস্থানে (Rajasthan) এক ১৬ বছরের কিশোরীকে গণধর্ষণ (Rape) করে খুন করেছিল দুষ্কৃতীরা। নিগৃহীতার ময়না তদন্তের রিপোর্ট দেখে শিহরিত পুলিশ প্রশাসন। জানা যাচ্ছে, ওই কিশোরীর মৃত্যুর পরেও তাকে ধর্ষণ করা হয়েছিল!
গত ২৩ ডিসেম্বর থেকে নিখোঁজ ছিল রাজস্থানের বুন্দির ওই আদিবাসী কিশোরী। মাঠে ছাগল চড়াতে গিয়েছিল সে। তারপর থেকেই তার আর কোনও খোঁজ মেলেনি। পরে এক জঙ্গলে তার নগ্ন নিথর দেহ খুঁজে পাওয়া যায়। তার গলা ও মাথায় ভয়ংকর আঘাতের চিহ্ন ছিল।
ময়না তদন্তের রিপোর্ট দেখে বিস্মিত পুলিশ। রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে, কিশোরীর যৌনাঙ্গে ৩০টিরও বেশি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আঘাত রয়েছে দেহের প্রায় সর্বত্রই। ধর্ষণের আগে ওই কিশোরীকে ওড়না দিয়ে বাঁধা হয়। তারপর শুরু হয় নারকীয় অত্যাচার। এমনকী, নিগৃহীতার শ্বাসরোধ করে তাকে খুন করার পরই ধর্ষণ করেছিল অভিযুক্তরা।
এহেন ভয়ংকর নির্মমতা কী করে করা সম্ভব ভেবে পাচ্ছে না পুলিশ। বুন্দির পুলিশ সুপারিটেন্ডেন্ট জয় যাদব জানাচ্ছেন, ”এমন ঘৃণ্য কাণ্ড আমি জীবনে দেখিনি। বুন্দি বার অ্য়াসোসিয়েশনের সদস্যরা জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁরা কেউ অভিযুক্তদের হয়ে মামলা লড়বেন না।”
উল্লেখ্য, ঘটনার দিন দুই বান্ধবীর সঙ্গে ছাগল চড়াতে গিয়েছিল ওই কিশোরী। পরে বান্ধবীদের দাঁড় করিয়ে রেখে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে জঙ্গলের ভিতরে যায় সে। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ পরেও সে ফিরে আসেনি। এরপর ওই দুই কিশোরী বাড়ি ফিরে এসে নিখোঁজ কিশোরীর বাবা-মা’কে বিষয়টি জানায়। এরপর শুরু হয় তল্লাশি। শেষে জঙ্গলের মধ্যে তার নগ্ন দেহের খোঁজ মেলে।