নতুন বছরের এক সপ্তাহ চলে গেলো আর এলো নতুন সপ্তাহের প্রথম দিন, তবুও করোনার ঊর্ধমুখী গ্রাফ এখনও অব্যাহত। সম্প্রতি করোনার গত ২৪ ঘন্টায় যে রিপোর্ট পাওয়া গেছে তাতে আক্রান্তের সংখ্যা ১ লক্ষ ৭৯ হাজার ৭২৩ জন, মৃত্যু হয়েছে ১৪৬ জনের। রবিবারের তুলনায় সোমবার দৈনিক সংক্রমণ বৃদ্ধির হার ১২.৬ শতাংশ। পজিটিভিটি রেট ১৩.২৯ %। অ্যাকটিভ কেস বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ লক্ষ ২৩ হাজার ৬১৯।
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের যে পরিসংখ্যান পাওয়া গেছে তাতে , দেশের করোনা গ্রাফ এতটা লাফিয়ে বেড়েছে পাঁচটি রাজ্যের লাগামছাড়া সংক্রমণের কারণেই। মহারাষ্ট্র এই পাঁচ রাজ্যের শীর্ষে রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ তারপরই রয়েছে। ৪৪ হাজারের বেশি মহারাষ্ট্রের দৈনিক সংক্রমণ, আর তা ২৪ হাজার ছাড়িয়েছে বাংলায়। এছাড়া দিল্লি, তামিলনাড়ু, কর্ণাটক সংক্রমণের তালিকায় থাকা অন্যান্য রাজ্যগুলি। মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ দিল্লির তিনটি সংশোধনাগারে প্রায় ৪৫ জন বন্দির শরীরের ছড়িয়েছে। যা অনেকটাই উদ্বেগ বাড়িয়েছে।
আজ থেকে দেশে শুরু হচ্ছে করোনা টিকার বুস্টার (Booster Dose) বা প্রিকশন ডোজ দেওয়ার কাজ এই উদ্বেগের মাঝেই। করোনা যোদ্ধা প্রথম সারির চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মী এবং প্রথমে এই বুস্টার ডোজ দেওয়ার সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের ষাটোর্ধ্ব কো-মরবিড রোগীদের। এতে আরও বাড়বে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বলে আশা স্বাস্থ্যমহলের। রাজ্যের ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তি মোট ২২ লক্ষ, ১০.৫ লক্ষ স্বাস্থ্যকর্মী এবং ৭.৫ লক্ষ প্রথম সারির যোদ্ধা বুস্টার ডোজ পাচ্ছেন। অন্যদিকে, টিকাকরণের কাজও চলছে জোরকদমে ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সিদের।
আপৎকালীন পরিস্থিতিতে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে দেশের লাগামছাড়া করোনা সংক্রমণ রুখতে, তা নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী রবিবার সন্ধেবেলা। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। কোন রাজ্যের এই মুহূর্তে কী প্রয়োজন, কীভাবে কেন্দ্র সাহায্য করতে পারে, সেসব নিয়ে আলোচনা হয় বলে সূত্রের খবর। আজ আরও কয়েকটি রাজ্যের সঙ্গে ফের ভারচুয়াল বৈঠক করবেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য।