প্রবল করোনার দাপটের মধ্যেই সমাপ্ত হয় পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা ভোট। এক দিকে করোনার বেলাগাম গতি আর অন্যদিকে ক্রমবর্ধমান হসপিটাল বেডের হাহাকার। এই দুই মিলে বিধানসভা ফলের আগেই রাজ্যে জুড়ে হয়েছিল জমায়েতের উপর বিধি নিষেধ। এমনকি নির্বাচন কমিশন জানিয়েছিল কোনো রকম বিজয় মিছিল করা যাবে না। এর পর ২রা মে নির্বাচনে সংখ্যা গরিষ্ঠতায় জিতেই সাথে সাথেই রাজ্যজুড়ে বিজয় মিছিল করতে মানা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কিন্তু নিজেদের দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ না মেনেই বিজয় মিছিল করল তৃণমূলের কিছু সমর্থক। শুক্রবার সন্ধা নাগাদ চণ্ডীতলা বিধানসভার ডানকুনি কালিপুর অঞ্চলে বিজয় মিছিল করেন তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা।
২০২১শের বিধানসভা নির্বাচনে চণ্ডীতলা আসনে বিজেপি-র তারকা প্রার্থী যশ দাশগুপ্ত এবং সংযুক্ত মোর্চা সমর্থিত সিপিএমের হেভিওয়েট প্রার্থী মহম্মদ সেলিমেকে হারিয়ে জয়ী হয়েছেন তৃণমূলের স্বাতী খন্দকার। শুক্রবার এই বিশাল জয়ের আনন্দে তৃণমূলের কর্মীরা বিজয় মিছিল বার করেন। জায়গায় জায়গায় সবুজ আবিরও খেলা হয়। একি সঙ্গে এবারের নির্বাচনে তৃণমূলের পপুলার গান ‘খেলা হবে’র ডিজে বাজিয়ে বিজয় মিছিল বার করেন তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকেরা।
ফলত করোনা সংক্রমণ রুখতে মুখ্যমন্ত্রী এবং তৃণমূল সুপ্রিমোর নির্দেশ, সংক্রমণ হ্রাস না পাওয়া পর্যন্ত রাজ্যে কোনও রকম বিজয় মিছিল করা যাবে না, এই নির্দেশ কার্যত উপেক্ষা করেই বিজয় মিছিল বার করলেন ডানকুনির তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা।
রাজ্যে প্রতিদিনই দ্রুত গতিতে বেড়েই চলেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। এ নিয়ে ঘুম উড়েছে প্রশাসনের। সেই সময়ে তৃণমূলের তরফে এই বিজয় মিছিল শাসকদলের কর্মী-সমর্থকদের পদক্ষেপের প্রতি প্রশ্নচিহ্ন তুলছে। তবে জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব জানিয়েছেন, “বিজয় মিছিল করা নিষেধ বলা হয়েছিল। অতি উৎসাহী কেউ কেউ তা করে থাকতে পারেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ডানকুনির তৃণমূল নেতৃত্বকে বলা হয়েছে। এখন আমাদের প্রথম কাজ করোনা মোকাবিলা করা।”