ভয়ঙ্কর ঘটনা। প্রতিদিনের মতোই তার মা কে ঘরে তালা বন্ধ করে অফিসের উদ্দেশ্যে বেরিয়েছিলেন। কিন্তু বিপত্তি ঘটলো ঠিক তখনই। সেইটা ঘরে আগুন লেগে জীবন্ত অবস্থায় পুড়ে মৃত্যু হল ওই বৃদ্ধার। তালা বন্ধ ওই নেতাজিনগরের (Netaji Nagar) বিদ্যাসাগর কলোনির বাড়িতে আগুন লেগে যায়। ৭২ বছরের বিশেষভাবে সক্ষম মহিলার আগুনে ঝলসে মৃত্যু (Burned to Death) হয়। কিন্তু এখানে আগুন লাগলো কিভাবে? তদন্ত করছে পুলিশ এবং এটা কি শুধুই দুর্ঘটনা নাকি কোনও ষড়যন্ত্রের শিকার হতে হল মহিলাকে?
শনিবার তখন বেলা সাড়ে ১২টা ঘড়িতে। এই নেতাজিনগর থানার ৪ নম্বর বিদ্যাসাগর কলোনির একতলা বাড়িতে আগুন ও ধোঁয়া দেখতে পেয়ে বাসিন্দারা চিৎকার শুরু করেন। খবর পেয়ে নেতাজিনগর থানার পুলিশ ও দমকলের ২টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। পুলিশ সূত্রে খবর, আধঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এলে, বাড়িটি বাইরে থেকে তালাবন্ধ দেখা যায়। তাঁরা তালা ভেঙে বাড়িতে ঢুকে দেখেন পুড়ে গিয়েছে সব জিনিসপত্র। রান্নাঘরের কোণে, অচৈতন্য হয়ে পড়ে আছেন বছর ৭২-এর বকুল অধিকারী বসে থাকা অবস্থায়। তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা বাঘাযতীন হাসপাতালে নিয়ে গেলে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ৩ ছেলে রয়েছে মৃতার। তাঁর সঙ্গে ছোট ছেলে থাকতেন। মৃতের ছেলে স্বপন অধিকারী শোকে বিহ্বল তিনি বলছিলেন, ‘আমি তো চলে যাই প্রতিদিনই। আগুন লেগেছে শুনলাম। আজ প্রতিদিনের মতো তালা লাগিয়ে গেছিলাম।’ এলাকায় ৯৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর মিতালি বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন ঘটনার সময়। তিনিও চিৎকার শুনে আসেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, বাড়িটি বাইরে থেকে তালাবন্ধ ছিল ঘটনার সময়। কিন্তু কীভাবে আগুন লাগল? দুর্ঘটনা না কি অন্য কোনও রহস্য মৃত্যুর নেপথ্যে রয়েছে, খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
এদিকে, ভয়াবহ আগুনে ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে শনিবারই হাওড়ার (howrah) ডোমজুড়ের (domjur) থার্মোকল কারখানা। প্রায় ৫ ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে দমকলের চেষ্টায়। তবে কোনও খবর নেই হতাহতের। দলকলের অনুমান শর্ট সার্কিট থেকে আগুন বলে।