সদ্যোজাত মেয়েকে ছুঁড়ে ফেলে দিতে হবে ডাস্টবিনে! আর এর জন্য টাকা ঘুষও দিয়েছিলেন হাসপাতালের সাফাইকর্মীদের। এমনই অভিযোগে অভিযুক্ত হলেন ত্রিপুরার ধর্মনগরের বাসিন্দা এক দম্পতি। খোদ বাবা মার থেকেই নৃশংস এমন মানসিকতার পরিচয় পেয়ে স্তম্ভিত সকলে। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই আসামের শিলচরের পুলিশ অভিযুক্ত সাফাইকর্মীকে গ্রেফতার করেছে। শিশুটির বাবা মা অবশ্য ঘটনার পর থেকে গা ঢাকা দিয়েছে। অভিযুক্ত ওই দম্পতির নাম যথাক্রমে দিগ্বিজয় দাস ও শম্পি দেব। গত ৭ই জানুয়ারির এমন অমানবিক ঘটনাকে ঘিরে তুমুল চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়।
শিলচর হাসপাতালের রেকর্ড ঘেঁটে দেখা যায় ৩১শে ডিসেম্বর শিশুটির মা শম্পি দেব হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। ২রা জানুয়ারি তাঁর শিশু কন্যার জন্ম হয়। আর তার পাঁচ দিন পরেই ৭ই জানুয়ারি সদ্যোজাতকে ছুঁড়ে ফেলার সময় স্থানীয়রা হাতেনাতে পাকড়াও করেন ওই সাফাইকর্মীকে। ধরা পড়ে মারমুখী জনতার সামনে ওই সাফাইকর্মী দম্পতির ঘুষ দেওয়ার কথা বলে দেন। তাঁর বক্তব্য অনুযায়ী তাঁকে বেশ বড় অঙ্কের টাকার লাভ দেখানো হয়েছিল। এরপরই পুলিশে খবর দিলে সাফাইকর্মীকে গ্রেফতার করে। দম্পতি গা ঢাকা দিয়েছে। পুলিশ সূত্র অনুযায়ী, শিশুটির বাবা মা বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়েছে। আর ধৃত সাফাইকর্মীকে জেরা করে আসল সত্য উদঘাটনের চেষ্টা হচ্ছে।
কিন্তু কেন কোনো বাবা মা এমন কাজ করবে? সেই বিষয়ে শিশুটির বাবা মার খোঁজ এখনও না মেলায় ধোঁয়াশা রয়ে গেছে। তবে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ওই শিশু কন্যার চোখের কিছু সমস্যা ছিল জন্মের সময়। তার চিকিৎসাও হচ্ছিল হাসপাতালে। কিন্তু ৭ই জানুয়ারি তাদের হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়া হয়। কিন্তু হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়ার অল্প সময়ের মধ্যেই এমন ঘটনা ঘটানো হয়। শিশুটির চোখের সমস্যার জন্যই তার বাবা-মা এমন করেছে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। বর্তমানে ওই শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে। তার চিকিৎসা চলছে।