ফ্লাইটে যাত্রার সময় অনেক সময় যাত্রীদের ব্যাগ বদলানোর খবর পাওয়া যায়। যার কারণে যাত্রীদের সমস্যায় পড়তে হয়। এ সময় যাত্রীরা এয়ারলাইন্সের কাস্টমার সার্ভিস ডেস্কে বা ওয়েবসাইটে অনলাইনে অভিযোগ করে তাদের লাগেজ ফেরত পাওয়ার চেষ্টা করেন। তবে অনেক সময় এমন হয় যে এয়ারলাইন্স থেকে উত্তর পেতে সময় লাগে। পাটনা থেকে বেঙ্গালুরুগামী একটি ইন্ডিগো ফ্লাইটে এমনই একটি ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। কিন্তু এক্ষেত্রে যাত্রী যা করেছেন তা অভিনব। সফটওয়্যার প্রকৌশলী নন্দন কুমারের ঘটনা শুনলে অবাক হবেন।
সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার নন্দন কুমারের ব্যাগ ফ্লাইটে পাল্টে যায়। এয়ারলাইন্সের ওয়েবসাইটে (Indigo Airlines Website) তিনি এ তথ্য পাঠান। তবে জবাব দিতে দেরি হওয়ায় লাগেজ পেতে এমন পদক্ষেপ নিলেন যা নিয়ে সবাই কথা বলছেন। বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিষয়টি ক্রমশ ভাইরাল হচ্ছে।
পুরো ব্যাপারটা কি:
সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার নন্দন কুমারের কী হয়েছিল, তিনি নিজেই টুইট করে তা প্রকাশ করেছেন। তিনি জানান যে তিনি ইন্ডিগো ফ্লাইট 6E-185-এ পাটনা থেকে বেঙ্গালুরু যাচ্ছিলেন। এই সময়, তার লাগেজ কাউন্টার থেকে তার সহযাত্রীদের মধ্যে কোনো একজনের সাথে দুর্ঘটনাক্রমে বিনিময় হয়। এর পরে নন্দন কুমার তার ব্যাগ পেতে যা করেছিলেন, সেটা তিনি তার টুইটার অ্যাকাউন্টে তা জানিয়েছিলেন।
পাটনা থেকে বেঙ্গালুরুগামী ইঞ্জিনিয়ারের প্রতিশোধ:
নন্দন কুমার জানান যে ব্যাগটি পরিবর্তন করা একটি সাধারণ ভুল ছিল কারণ এটির রঙ এবং চেহারা একই রকম ছিল। বাড়িতে পৌঁছে তার স্ত্রী তাকে ব্যাগ পরিবর্তন হওয়ার কথা জানান। এরপর তিনি ইন্ডিগো কাস্টার ডেস্কে প্রথম কথা বলেন। তবে লাগেজ খুঁজে না পাওয়ায় তিনি এয়ারলাইন্সের ওয়েবসাইট হ্যাক করে। যদিও নন্দন কুমার বলেন, তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে এই কাজটি করেননি, অসাবধানতাবশত হয়েছেন।
আসলে ইন্ডিগো এয়ারলাইন্স থেকে কোনো রকম সহযোগিতা না পাওয়ার জন্য
নন্দন কুমার ইন্ডিগো এয়ারলাইন্সের ওয়েবসাইট থেকে তার সহযাত্রীর ঠিকানা এবং যোগাযোগ নম্বর খুজেঁ বার করে । তারপর তার সাথে কথা বলেন। ঘটনাক্রমে, তার সহযাত্রীর বাড়ী তার বাসভবনের কাছেই ছিল। তারপর তারা নিজেরা ব্যাগ বিনিময় করে নেন। শুধু তাই নয়, টুইটে আবারও এই তথ্য দিলেন তিনি। এর সাথে ইন্ডিগো এয়ারলাইন্সের ওয়েবসাইটের ত্রুটি সম্পর্কেও তথ্য দেওয়া হয়েছে। তিনি এয়ারলাইন্সকে তার গ্রাহকদের প্রতি আচরণ ও দায়বদ্ধতাকে উন্নত করতেও বলেছেন।