স্বপ্নের বাইক। আর তার মূল্য, নেহাত কম কিছু নয়। প্রায় ২.৬ লাখ টাকা। এত মূল্যের টাকা সাধারণত চেক বা অন্যান্য উপায়ে মেটানোর চেষ্টা করে মানুষজন। কেননা এত মোটা অংকের টাকা ক্যাশ এ বহন করাও বেশ কষ্টসাধ্য বটে। কিন্তু যদি শোনেন এতগুলো টাকা চেক বা অন্যান্য মানিট্রান্সফার তো দূরের কথা কোন গ্রাহক ক্যাশেও মেটাননি। মিটিয়েছেন কয়েনে। এবং পুরোটাই ১ টাকার কয়েনে তাহলে? শুনতে অবাক লাগলেও ঠিক এমনটাই ঘটেছে। নিজের স্বপ্নের বাইক কিনতে বাইকের মূল্য ২.৬ লাখ টাকা কয়েন দিয়ে মিটিয়েছে এক যুবক। আর এই ঘটনাই এখন ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। এমন উদ্ভট ঘটনার প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন বহু নেটিজনেরা। আর বেশিরভাগের মনে একটাই প্রশ্ন। এক টাকার এতটা টাকা গুনতে ঠিক কতটা সময় লাগলো।
এক টাকার কয়েন জমানো শুরু করেছিলেন প্রায় তিন বছর আগে, আর এই তিনবছর ধরে তিনি টাকা জমিয়েছেন। সেই যুবক তার জমানো ১টাকার কয়েন দিয়ে ২.৬ লক্ষ টাকার বাইক কিনে ফেললেন। আর এই কয়েক গুলো গুনতে সেখানকার কর্মচারীদের অন্ততঃ ঘন্টা দশেক লেগেছে। তামিলনাড়ুর সালেম এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটেছে।
২৯ বছর বয়সী ভি ভূপতি নামে ওই যুবক জানিয়েছেন, যে তিনি সেই বাইকের বিষয়ে খোঁজ নেন তিন বছর আগে। আর সমস্ত রকম খোঁজ নেওয়ার পর পছন্দ হলেও বাইকের দাম দেখে ডকটু নিরাশ ছিলেন। সেই বাইকটির দাম দু’লাখ টাকার বেশি। আর এরপর থেকেই নিজের এই স্বপ্নের বাইক কিনতেই ১টাকার কয়েন জমাচ্ছিলেন তিনি। একটি বেসরকারি সংস্থায় কম্পিউটার কাজ করেন আম্মাপেটের গান্ধী ময়দানের বাসিন্দা ভূপতি । ইউটিউবের অ্যাকাউন্টও সেইসঙ্গে চালান। একাধিক ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন গত চার বছর ধরে। ভূপতি বলেন, ‘ আমার কাছে বেশি টাকা ছিল না তিন বছর আগে। যা টাকা পাই ইউটিউব চ্যানেল থেকে, তা জমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।’
অবশেষে ভূপতি নিজের স্বপ্নের বাইকে কিনেছেন। তবে দোটানায় পড়েছিল শোরুম কর্তৃপক্ষ ২.৬ লাখ এক টাকার কয়েন নিয়ে। ওই শোরুমের ম্যানেজার জানান, সেই কয়েন প্রাথমিকভাবে নেবেন কিনা, তা নিয়ে দোটানায় ছিলেন। কিন্তু দীর্ঘদিনের ইচ্ছাপূরণের কথা ভেবে ভূপতির এক টাকার কয়েনেই পুরো দাম নিতে রাজি হয়ে যান। ভূপতি, তাঁর চার বন্ধু এবং শোরুমের পাঁচজন কর্মী। শেষপর্যন্ত শনিবার রাত ন’টা নাগাদ হাতে পান।