এমন অনেকেই আছেন যারা এলোপ্যাথি পছন্দ করেন না বরং ব্যবহার করেন হোমিওপ্যাথি।যে কোনও রোগের ক্ষেত্রেই তারা হোমিওপ্যাথি কে বেশি গুরুত্বপূর্ণ দেন। ডাক্তাররা কিন্তু বেশ কিছু পরামর্শ দেন যদি আপনি হোমিওপ্যাথি ওষুধ খেতে থাকেন। হোমিওপ্যাথি ওষুধ খাওয়ার সময় বেশ সতর্ক থাকা প্রয়োজন। এঁর কারণ হলো আপনি যদি হোমিওপ্যাথি ওষুধ খেতে একটু এদিক ওদিক করেন তাহলে সেই ওষুধ কাজ করবেনা। তাই বুঝে নিয়ম মেনে ওষুধ খান। নাহলে আপনার কিন্তু বেশ বড় বিপদ হতে পারে। যেমন ওষুধের পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, তেমনই ওষুধ কাজ না-করারও ভয় থাকে নিময় মেনে না খেলে। জানুন কী কী করবেন আর কী করবেন না এক্ষেত্রে।
কিছু খাবেন না হোমিওপ্যাথি ওষুধ খাওয়ার ১০ মিনিট আগে বা পরে । এমনকী, বলা হয় জল না পান করার কথাও ।
জলে গুলে যে সমস্ত ওষুধ খেতে হয়, সেগুলোর ক্ষেত্রে জল ব্যবহার করুন চিকিৎসকের বলে দেওয়া মাপ মতো।
কখনওই হাতে নেবেন না হোমিওপ্যাথি ওষুধ। ওষুধে ব্যবহার করা স্পিরিট এর ফলে উবে যায়। এর বদলে সরাসরি পুড়িয়া থেকে ওষুধ খান নাহলে ডাক্তারের পরামর্শ মতো ওষুধ খান।
জলে ভাল করে মুখ কুলকুচি করে নিন হোমিওপ্যাথি ওষুধ খাওয়ার আগে। এতে উপকার বেশি পাবেন।
একই রোগ হলেও গ্রহণ করবেন না অন্য কোন রোগীর হোমিওপ্যাথি ওষুধ। কারণ ওষুধের ধরন আলাদা হয় মানুষ অনুযায়ী। এতে আপনার বরং ক্ষতি হবে উপকার হওয়ার বদলে।
অনেক চিকিৎসকই টক জাতীয় খাবার না খাওয়ার কথা বলেন হোমিওপ্যাথি ওষুধ খাওয়ার সময় । এই ব্যাপারে ডাক্তারের থেকে অবশ্যই জেনে নেবেন।
একইসঙ্গে না করানোই ভালো অ্যালোপাথি ও হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা। এক্ষেত্রেও আগে ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলুন।
হোমিওপ্যাথির বই বাজারে সহজলোভ্য। নিজে নিজে চিকিৎসা না করাই ভালো কিন্তু তা দেখে ।
যেখানে রোদ সরাসরি আসে এমন কোনও তাক বা টেবিলে হোমিওপ্যাথির ওষুধ রাখবেন না। ভালো করে বন্ধ করবেন ওষুধের শিশির ঢাকনাও।
যতদিন হোপিওপ্যাথি ওষুধ খাবেন ততদিন কোনও রকম নেশা করা থেকে বিরত থাকুন। অনেকটাই কমে যায় ওষুধের কার্যকারিতা সিগারেট বা মদ খেলে।