ভারতে ডায়াবিটিস হল সবচেয়ে দ্রুত বেড়ে চলা রোগগুলির মধ্যে একটি। ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে রোগীদের মিষ্টি খাওয়া সম্পূর্ন রূপে বন্ধ হয়ে যায়। কেনোনা তা রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু মিষ্টি খেলেই রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যাবে কিংবা আপনার সুগার বেড়ে যাবে এই ধারণা সম্পূর্ন ঠিক নয়।
তবে রক্তে শর্করার মাত্রা ধরে রাখা ভীষণ জরুরি। কেনোনা রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে গেলে হৃদরোগ এবং কিডনি রোগের সম্ভবনাও বেড়ে যায়। এর থেকে রোগীর বিপজ্জনক পরিস্থিতিও দেখা দিতে পারে। এইজন্য ডাক্তাররা সবসময় ডায়াবিটিস রোগীদের রক্তে সুগার নিয়ন্ত্রণ করার পরামর্শ দেন।আমেরিকান ডায়াবেটিস অ্যাসোসিয়েশন নির্দেশনানুসারে রক্তে শর্করাকে নিয়ন্ত্রণ করা অত্যন্ত দরকারি। আপনার ডায়াবেটিসের সমস্যাকে হালকাভাবে নেবেন না, বরং সাবধানতা অবলম্বন করুন এবং রক্তে শর্করা বৃদ্ধির কারণগুলি খুঁজে বের করুন। সাধারণ ভাবে ব্লাড সুগার হওয়ার কারণগুলি হল
এক্সারসাইজ বা শরীরচর্চা না করা-
আপনার রোজকার জীবনে হালকা ওয়ার্কআউটের ভূমিকা অপরসীম। রক্তে শর্করা কমাতে কিছুক্ষণ হাটা বা ঘরের কাজকর্মের মতো কাজগুলি নিজের হাতে করলে সুফল পাবেন অচিরেই। আপনার শরীরে অঙ্গ প্রত্যঙ্গ নড়াচড়া কমলে শরীরে গ্লুকোজে বেড়ে যায়।
আপনার ডায়েটের প্রতি নজর রাখুন।
হঠাৎ রক্তে সুগার বাড়লে, তা চিন্তার বিষয়। এর জন্য, প্রথমেই আপনি রোজ কী কী খাচ্ছেন দেখুন। এছাড়াও, আপনার যে খাবারগুলি রোজ খাচ্ছেন তাতে শর্করা এবং স্টার্চের পরিমাণ কতোটা? এগুলি রক্তের সুগারের লেভেল বাড়ায়। রুটি, লাল চালের ভাত, ফল এবং শাকসবজি থাকলে রক্তে শর্করার পরিমাণ হ্রাস পায়।খাবারে বেশি পরিমাণে ফাইবার যুক্ত করলে ডায়াবেটিসের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন
খুব কম ঘুম
আপনার কম ঘুম রক্তে শর্করার পরিমাণ কে প্রভাবিত করে। গবেষকরা বলেন যে গভীর ঘুমালে আপনার স্নায়ুতন্ত্র স্থির হয়ে যায় এবং মস্তিষ্ক রক্তে শর্করার ব্যবহার কম করে। তাই গভীর ঘুম ভীষণ জরুরী।
ভুল ওষুধ সেবন
ইনসুলিন আপনার রক্তে সুগার লেভেল কমায়। তবে ইনসুলিনের ভুল ডোজ আপনার ক্ষতিও করতে পারে। কার্টিকোস্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ রক্তে সুগার লেভেল কে প্রভাবিত করে। এছাড়াও আপনি যদি মানসিক অবসাদের ওষুধ বা রক্তচাপের ওষুধ সেবন করেন তবে রক্তে শর্করা কখন বাড়বে তা আপনি জানতে পারবেন না।