Dainik Sangbad – দৈনিক সংবাদ
Image default
ট্রেন্ডিং

টানা ৪২ দিন এই গ্রামগুলির মানুষ থাকে সম্পূর্ন নির্বাক! কোনো কথাই বলেন না তারা

হিমাচল প্রদেশের কুলু জেলার বেশ কয়েকটি গ্রামের কথা জানেন। বছরের একটি নির্দিষ্ট সময়ে, এই গ্রামগুলোতে পালিত হয় টানা নীরবতা। কোনো কথাবার্তা চলে না। এমনকী এই সব গ্রামের গ্রামবাসীরাও নিজেদের মধ্যে কোনো কারণেই কথা বলেন না। কোনো দরকার হলে আকার ইঙ্গিতে ভাব বিনিময় করে নেন। এই সময় কোনো পর্যটকদের এই গ্রামগুলোতে বেড়াতে আসা মানা। যদি কেউ কোনো কারণে আসেনও, তাঁর কোনো কথাবার্তা বলা একেবারেই মানা। কিন্তু কেন পালিত হয় এমন অদ্ভুত রীতি!

হিমাচল প্রদেশের কুলু জেলার প্রায় ১০টি গ্রামে চলে আসছে এমনই এক অদ্ভুত প্রথা। সমস্ত গ্রামবাসীরা বছরের একটি বিশেষ সময় ধরে নির্বাক হয়ে যান। মৌনতা পালন করার সেই রীতি চলে অন্তত বেয়াল্লিশ দিন। এই গ্রামগুলির নাম, গোশাল, সোলাং, শানাং, কোঠি, পালচান, রুয়ার, কুলাং, মঝাচ, বরুয়া, এবং উঝি। কিন্তু কেন এমনটা! বলা হয় এই সব গ্রামের গ্রামবাসীদের এই ৪২ দিনের মৌনব্রত পালনের সাথে জড়িয়ে রয়েছে প্রাচীন পুরাণের যোগসূত্র রয়েছে বলে বিশ্বাস অনেকেরই। মাঘ মাসে মকর সংক্রান্তির সময় থেকে এই মৌন ব্রত রাখার রীতি চালু হয়। এই গ্রামের বাসিন্দারা জানুয়ারি মাসের ১৪ তারিখ থেকে শুরু করে ফেব্রুয়ারির ২৫ তারিখ পর্যন্ত টানা কোনও কথাবার্তা বলেন না। সোলাং ও রুয়ার এই সব গ্রামে আবার মৌনব্রত রাখার পাশাপাশি বন্ধ থাকে কৃষিকাজও। কিন্তু ৪২ দিন এক টানা কেন চুপ করে থাকেন এই গ্রামগুলির বাসিন্দারা?

বলা হয়, এই সময় গভীর ধ্যান সমাপ্ত করে ঈশ্বর স্বর্গের পথে রওনা দেন। স্বর্গে যাওয়ার সময় কোনো শব্দ কোলাহলে যাতে অসুবিধার সম্মুখীন না হন, তাই নাকি এই চল। আবার আরেকটি লোকশ্রতি হল এই মৌনব্রত পালনের সঙ্গে যোগ রয়েছে ঋষি গৌতমের। বিপাশা নদীর তীরে ঋষি গৌতম এক সময় তপস্যা করছিলেন। তাঁর তপস্যা যাতে ভঙ্গ না হয়, তাই এই মৌনব্রত রাখা হয়েছিল। সেই থেকেই নাকি চলে আসছে এই প্রথা। বহু প্রাচীন একটি মন্দিরও রয়েছে কুলুর কাছে। মকর সংক্রান্তির দিন সেই মন্দিরে পূজার্চনার পর বন্ধ করে দেওয়া হয় মন্দির। শুরু হয় মৌনব্রত পালন। গৌতম ঋষি ছাড়াও বেদব্যাস ও কাঞ্চন নাগের মূর্তিও আছে এই মন্দিরে। মানালির গোশাল গ্রামের এই মন্দিরটি এই সময়ে পর্যটকের জন্য বন্ধ থাকে। মন্দিরে চলে না কোনো পূজাঅর্চনাও।

অবশ্য প্রাচীন এই মত বাদে আরেকটি মত আছে, শীতে বরফে আবৃত এই গ্রামগুলিতে রোদের আভাস পেলে তবেই খোলে মন্দির। কিছু কিছু জায়গায় এতটাই বেশি বরফ পড়ে যে, শীতকালে কোনো কাজকর্ম করার ক্ষমতাই থাকে না স্থানীয় গ্রামবাসীদের। বেশিরভাগ সময়টাই থাকে ক্লান্তি। তাই কথা বলার বা বাড়ি থেকে বেরোনোর কোনো পরিস্থিতি প্রায় থাকে না।

Related posts

পর পর দুবারই জন্ম দিয়েছেন কন্যা সন্তানের! চূড়ান্ত পরিণতির শিকার হলেন গৃহবধূ

News Desk

বাড়ির বউদের নিয়ে তৈরী লুটেরা গ্যাং! গাড়ী থামিয়ে লুটপাট চলছে খোদ কলকাতার বুকে

News Desk

উত্তরাখণ্ডে আবার ফিরে এলো ধসের আতঙ্ক! চামোলিতে মৃত ২

News Desk