এ যেন শিক্ষকতার নামে কলঙ্ক। পড়াতে এসে ঠিকমতন তো পড়াচ্ছিলেনই না। উল্টে নিজের পরের বছরের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ছাত্রীর সাথে অশালীন ইঙ্গিতপূর্ণ কথাবার্তা এবং অঙ্গভঙ্গি করতেন। এইসব হচ্ছে দেখে চার মাস আগে ছাত্রীর বাড়ির অভিভাবকরাও ওই শিক্ষককে ছাড়িয়ে দেন। ভেবেছিলেন এবার এসব বন্ধ হবে। কিন্তু ছাত্রীর বাড়ি থেকে শিক্ষকের বাড়ির দূরত্ব খুব বেশি না। পড়াতে আসা বন্ধ হলে কি হবে ওই ছাত্রীকে রাস্তায় উত্যক্ত করতে শুরু করেন ওই প্রাইভেট টিউটর। সহ্যের সীমা পেরিয়ে গেলে শেষ অব্দি বুধবারই ছাত্রীর পরিবার বাগুইহাটি থানায় অভিযোগ জানায়। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয় পুলিশ। অ্যারেস্ট হন ওই শিক্ষক।
ছাত্রীর বক্তব্য, সে বহুবার স্যার কে মানা করেছিল। কিন্তু তারপরও নিজের আচরণে কোনো পরিবর্তন আনেননি তিনি। টিচার হলেও পড়াশোনার থেকে অনেক বেশি সে তার প্রতিই আগ্রহী ছিল। বাড়ির লোক পড়া ছাড়িয়ে দেয়। ওই শিক্ষককে আসতে না করে দেয়। কিন্তু দেখা যায় ওই পাইভেট টিউটরের কোন লজ্জাই নেই। উল্টে পথে-ঘাটে ছাত্রীকে বিরক্ত করা শুরু করা সে। অশালীন কথাবার্তা, ব্যাগ ধরে টানাটানি সবই চলত। এমনকি ছাত্রীকে বলতেন ‘ব্যালকনিতে এসে দাঁড়াও না কেন, তোমায় না দেখলে আমার ভালো লাগে না।’
ক্লাস টুয়েলভে পাঠরত ওই ছাত্রী। ছাত্রীর নিজের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়ে বলেছে, পরের বছর ক্লাস টুয়েলভ এর পরীক্ষা। পড়াশুনা নিয়ে তাই ভীষণ চাপে থাকে ওই মেয়েটি। তারমধ্যে একজন শিক্ষকের এহেন আচরণ আরো মানসিক চাপ বৃদ্ধি করেছে। পড়াশোনায় যথেষ্ট ক্ষতি তো হচ্ছেই তার। সাথে সাথে স্যারের কর্মকাণ্ডে মানসিকভাবেও বিপর্যস্ত হচ্ছেন স্কুলে পাঠরতা ছাত্র। ছাত্রীর বাড়ির লোকের অভিযোগ শুধু তাদের বাড়ির মেয়েকে নয়, আরো একটি মেয়ের সাথে একই আচরণ করেছে অভিযুক্ত। এমন চলতে থাকলে মেয়ে পড়াশোনায় মন দেবে কি করে? তাই বাধ্য হয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন তারা। পুলিশ জানিয়েছে তারা ঘটনাটি খতিয়ে দেখছে।