বলা হয় শিক্ষক জাতির মেরুদন্ড। শিক্ষার আলোয় সমাজকে আলোকিত করাই তাদের কাজ। প্রকাশ্যে এলো এমন এক শিক্ষকের কুকীর্তি যা বিশ্বাস করা শক্ত। ঘটনাটা কি?
রকর্ণাটকের রায়চুর জেলার একটি সরকারি স্কুলের শিক্ষকের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। মেয়ের মাকে শারীরিক সম্পর্কের জন্য চাপ দেওয়া ও অশ্লীল ভিডিও ফাঁস করার অভিযোগে ওই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তদন্তে জানা যায়, অভিযুক্ত শিশুদের সঙ্গেও অশ্লীল কাজ করত। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে।
যিনি শিক্ষক ছিলেন
অভিযুক্তের নাম মোহাম্মদ আজরুদ্দিন। তিনি সিঙ্গাপুরা সরকারি স্কুলের শিক্ষক। রবিবার পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্কুলের শিশুদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারেরও অভিযোগ রয়েছে। ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়ার পর পাবলিক ইন্সট্রাকশন বিভাগ ও রাইচুর জেলার উপ-পরিচালক তাঁকে স্কুল এবং শিক্ষকতা থেকে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ জারি করেন।
পুরো ব্যাপারটা কি?
পুলিশ জানায়, একজন মেয়ে স্টুডেন্টের মা অভিযোগ করেছিলেন যে শিক্ষক তাকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে তিনি তার মেয়েকে টিউশন সহ সরকারী সুযোগ-সুবিধার ব্যাবস্থা করে দেবেন। বিনিময়ে সে তাঁকে জোর করে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করতে। আসলে ওই ছাত্রীর আর্থিক অসহায়তার সুযোগ তুলেছেন ঐ শিক্ষক।
ভিডিওও করেছেন
নির্যাতিতা মহিলার অভিযোগ, অভিযুক্ত শিক্ষক সেই ব্যক্তিগত মুহূর্তগুলি ভিডিও রেকর্ড পর্যন্ত করেছিলেন। এরপরে ওই শিক্ষক মহিলা কে এই বলে হুমকি দেয় যে তাকে সহযোগিতা করতে হবে, অন্যথায় সে তার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে দেবে। শুধু হুমকি দিয়েই থেমে থাকেননি তিনি। পরে সেই ভিডিও ভাইরাল করেন তিনি। করতাগি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই মহিলা। পুলিশ কর্তৃপক্ষ বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে। প্রশাসন সূত্রে খবর অভিযোগ প্রমাণিত হলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।