স্কুলে ক্লাসের ছাত্রদের হোমওয়ার্ক দিয়েছিলেন তাদের শিক্ষিকা । যদিও আর পাঁচটা দিনের মতো সাধারণ হোমিওয়ার্ক এটি ছিলনা। ওই স্কুলের শিক্ষিকা ছাত্রদের বীর্য ভরা কণ্ডোম আনতে বলেছিলেন স্কুলে। যৌন শিক্ষার ক্লাস চলছিল আর সেখানেই পুরুষ প্রজনন ব্যবস্থার পাঠ দিতে গিয়েই এই অদ্ভুত ধরনের হোমওয়ার্ক দিয়েছিলেন ওই শিক্ষিকা। এই কারণে ছাত্রদের মা বাবার ক্ষোভের সম্মুখীন হয়ে চাকরি হারাতে বসেছেন তিনি।
ঘটনাটি বলিভিয়ার মিনিরো পৌরসভার হুয়ানা আজুরডুই দে প্যাদিলা স্কুলে ঘটেছে। মারিয়া ইনেস পেরেডোহো ওই অভিযুক্ত শিক্ষিকার নাম। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে তিনি ছাত্রদের কন্ডোমে তাদের বীর্য ভরে স্কুলে আনতে বলেছিলেন। এই অদ্ভুত ধরণের ‘হোমওয়ার্ক’-এর কথা জানার পর প্রচন্ড ক্ষুদ্ধ হয়েছেন ছাত্রদের অভিভাবকরা। মারিয়া কিশোর ছাত্রদের হস্তমৈথুনে প্ররোচনা দিচ্ছেন, এমনটাই তারা অভিযোগ করেছেন। দেশের পাবলিক মিনিস্ট্রিতে এক অভিভাবক ওই শিক্ষিকা বিকৃতমনস্ক বলে দাবি করে তাঁর উপর “নাবালকদের মাথা বিগড়ে দেওয়ার” অভিযোগ জানিয়েছেন।
তবে, যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মারিয়া ইনেস পেরেডোহো। তিনি বলেছেন, ছাত্ররা ওই ‘হোমওয়ার্ক’ করতে বাধ্য ছিল না। তিনি দাবি করেছেন পুরো বিষয়টি নিয়ে একটা ‘ভুল বোঝাবুঝি’ তৈরি হয়েছে। এর জন্য ক্ষমাও চেয়েছেন তিনি। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেছেন, “আমিও একজন মা, আমার চারটি ছোট সন্তান রয়েছে। আমি বিকৃতমনস্ক নই।”
যদিও তিনি দাবি, অনিচ্ছাকৃত গর্ভধারণ এড়াতে গেলে এড়িয়ে চলা উচিত শুক্রাণুকে, তিনি ছাত্রীদের এই পাঠ দিতে গিয়েছিলেন। শুক্রাণুর প্রকৃতিতে কতক্ষন জীবনকাল তা বোঝাতেই এমনটা করতে বলেছিলেন। মারিয়া পেরেডোহো জানিয়েছেন , “ ছাত্রদের বিকৃত করা আমার উদ্দেশ্য ছিল বলেই সংবাদমাধ্যমে বলা হচ্ছে। আরও বলা হচ্ছে যে আমি তাদের হস্তমৈথুন করে ভরে নিয়ে আসতে বলেছিলাম বয়ামে। কিন্তু এটা আমার উদ্দেশ্য ছিল না শিক্ষিকা হিসেবে। আমি সতর্ক করতে চেয়েছিলাম মেয়েদের যে, তারা যদি জীবনে গর্ভধারণ রোধ করতে চায়, তবে এই পদার্থটি এড়াতে হবে।”
যদিও এই ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। কার্লোস ওপোর্টো ‘সান্তা ক্রুজ স্পেশাল ফোর্স টু ফাইট ভায়োলেন্সের’ ডিরেক্টর বলেছেন, “ আমরা মিনরো হাই স্কুলের ছাত্রদের সাক্ষাৎকার নিচ্ছি এই মুহুর্তে। তাদের বক্তব্যের উপর নির্ভর করছে এই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব কি না।” এডউইন হুয়াইল্লানি বলিভিয়ার শিক্ষা বিভাগের বিভাগীয় পরিচালক বলেছেন, “সংশ্লিষ্ট শিক্ষিকাকে তদন্ত চলাকালীন সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।”
তবে এরপরও ওই শিক্ষিকা কোনও ভুল করেননি বলেই দাবি করেছেন । তিনি বলেছেন, “আমি তো কাউকে খুন করিনি, এমনকি কাউকে ধর্ষণ করিনি। আমাকে যৌন শিক্ষা দেওয়ার জন্য জনগণই বলবে জেলে যেতে হবে কি না। কারণ, তরুণরা কখনও না কখনও বুঝতে পারবে আমি তাদের কী শিক্ষা দিয়েছি। যদি ভুল করে থাকি আমি, তাহলে আমি মিনেরো এবং বলিভিয়ার গোটা সমাজের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।”