চায়ের প্রতি ভারতীয়দের ভালোবাসা ও দুর্বলতা সকলেই জানেন। কনকনে শীত হোক বা বর্ষাকাল, বা গরমকাল, চায়ের কাপে মজে না এমন মানুষ এই দেশে খুজেঁ পাওয়া দায়। জনপ্রিয় পানীয়ের নিরিখে সর্বকালে, সর্বস্থানে চা অগ্রাধিকার পায়। রাস্তাঘাটে হোক, কি শপিং মলে, কি পাঁচ তারা হোটেলে চা প্রেমীর উপস্থিতি সর্বত্র। দোকানে চায়ের কাপে, মাটির ভাঁড়ে বা ডিসপোজেবল কাগজের কাপে চা পরিবেশন করা হয়। চা খেয়ে আমরা ডাস্টবিনে ফেলে দিই সাধারণতঃ সেগুলো। কিন্তু যদি শোনেন চা পান করার পর খাওয়া যাবে চায়ের কাপও!! শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। এমন এক কাপে চা পরিবেশন করছে মধ্যপ্রদেশের এক দোকান।
মধ্যপ্রদেশের শাহদোল শহরে চায়ের দোকানে এমন চায়ের কাপে চা পরিবেশন করা হচ্ছে।কথাটা শুনতে যতই অদ্ভুত লাগুক না কেন এটা শতভাগ সত্যি। আসলে এই ধরনের চায়ের কাপ বিস্কুট ওয়েফার দিয়ে তৈরি। মধ্যপ্রদেশের, শাহদোলের জেলা সদরের মল রোডে রাস্তার পাশে ‘আলহাদ কুলহাদ চায়ে শপ’ বলে একটি নামে চায়ের দোকান রয়েছে, যেখানে অভিনব এমন ওয়েফারের তৈরি চায়ের কাপে গ্রাহকদের চা দেওয়া হয়। যেখানে গ্রাহকরা চা পান করার পরে সেই কাপটি অনায়াসে খেতে পারেন।
এই অভিনব ধরনের চায়ের কাপে চা পান করার পর, গ্রাহকরা কাপটিকে একটা বিস্কুটের মতো খেতে পারেন। এই বিস্কুটের তৈরী কাপের স্বাদও বেশ অসাধারণ। ‘আলহাদ কি কুলহাদ চায়’ শুরু করেছেন রিঙ্কু অরোরা এবং পীযূষ কুশওয়াহা নামক দুই বন্ধু। ক্রেতাদের নিজেদের চায়ের দোকানে অভিনব কিছুর দ্বারা আকৃষ্ট করতে তারা এই ওয়েফারের কাপে চা পরিবেশন শুরু করেন। আসলে, পীযূষ এবং রিংকু তাদের চা স্টার্টআপকে একটু আলাদা কিছু করে নাম করতে চেয়েছিল।
তারা বলেন সাধারণ চায়ের দোকানে ক্রেতাদের কাঁচের গ্লাস, ডিসপোজেবল কাপ বা মাটির ভাঁড়েই চা পরিবেশন করা হয়, যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর আর পরিবেশও দূষিত করে। তাই এই দোকানে কাপের পরিবর্তে ওয়েফার কাপে চা পরিবেশন শুরু করেন, যা পরে খাওয়াও যায়। এই ওয়েফার কাপগুলির স্বাদও অসাধারণ। ওয়েফার বিস্কুট বা চকোলেটের মতো।
এই দোকানে এক কাপ চায়ের দাম মাত্র ২০ টাকা। এই অভিনবত্বের কারণে, আলহাদ কুলহাদ নামক এই চায়ের দোকান পুরো শাহদোল শহরে বিখ্যাত হয়ে উঠেছে। এই চায়ের ওয়েফার কাপগুলি সোশ্যাল মিডিয়ার ইউজারদের মধ্যেও বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।