আফগানিস্তানে তালিবান ফিরে আসতেই তাদের হাত ধরে আফগানিস্তানে ফিরছে স্বৈরাচারী রাজত্বের দিন। বিশেষ করে মহিলাদের উপর তালিবানি পন্থীদের (Taliban) অত্যাচার যেন দিন দিন বেড়েই চলেছে নতুন তালিবান শাসিত আফগানিস্তানে। ইসলামি শরিয়তি আইন মেনে মহিলাদের স্বাধীনতা এবং অধিকার রক্ষার আশ্বাস দেওয়া হলেও, কট্টর মৌলবাদী তালিবানরা আফগান মহিলাদের উপর চালাচ্ছে যারপরনাই নির্যাতন এবং বহু জায়গায় তাঁদের নির্বিচারে হত্যা করছে। আর এরই মধ্যে আফগানিস্তান (Afghanistan) থেকে এক মর্মান্তিক ও নৃশংস ঘটনার কথা সামনে আসছে। সম্প্রতি আফগানিস্তানে এক মহিলাকে জীবন্ত জ্বালিয়ে দেওয়ার ঘটনা সামনে এসেছে। অভিযোগের তীর তালিবানি জঙ্গিদের দিকে। জানা গিয়েছে ওই মহিলার করে দেওয়া রান্না যথেষ্ট স্বাদযুক্ত মনে হয়নি তালিবান জঙ্গিদের। তাই শিক্ষা দিতে এক মহিলাকে পুড়িয়ে মেরে ফেলেছে বলেই খবরে প্রকাশ।
সম্প্রতি আমেরিকার একটি সংবাদমাধ্যমকে স্কাই নিউজ (Sky News) দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনটা জানিয়েছেন আফগানিস্তানের প্রাক্তন বিচারপতি নাজলা আয়ুবি (Najla Ayoubi)। বহু সময় ধরেই সেই মহিলাদের অধিকার সম্পর্কিত আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত তিনি।
জানা গিয়েছে কাবুলের দখল নেওয়ার পরই কারা কারা আমেরিকান সৈন্য আর আশরফ গনির সরকার কে সাহায্য করেছে খোঁজ করছে তালিবানরা। উচ্চ নেতৃত্ব সকলকে ক্ষমার কথা বললেও আদৌ তেমন কোনো ক্ষমা দেখাচ্ছে না তালিবানরা। সাধারণ মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পূর্ব সরকারের সমর্থনকারীদের খুঁজছে তালিবানরা। আর সেই সূত্রেই কয়েকজন তালিবান জঙ্গি এক মহিলার বাড়িতে ঢুকে তাঁকে খাবার রান্না করে দেওয়ার নির্দেশ দেয়। সেই রান্নার স্বাদ ঠিক হয়নি এই অপরাধে সেই মহিলাকে পুড়িয়ে মারে জঙ্গীরা।
নাজলা আয়ুবি বর্তমানে আমেরিকায় আশ্রিত। তিনি বলছেন, ‘‘গত কয়েক দিন ধরে প্রচুর আফগানিস্তানের মানুষের সাথে ফোন কথা বলেছি। যা সব খবর শুনছি, তা কল্পনার বাইরে। জোর করে বাচ্চা মেয়েদের সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হচ্ছে তালিবান গোষ্ঠীর যোদ্ধাদের। আফগান অল্প বয়সী তরুণীদের কফিনের ভেতরে বন্দী করে যৌনদাসী বানিয়ে পাশের দেশে পাচার করা হচ্ছে ।’’ সব মিলিয়ে আফগানিস্তানে মেয়েদের দুর্দশা চরমে। কোনোক্রমে দেশ ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করছেন তারা।