মানুষ পৃথিবীতে অনেক ধরনের পশুপাখি লালন পালন করে। এসব প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটিয়ে তারা আনন্দ পায়। কেউ কুকুর পালন করতে পছন্দ করেন আবার কেউ বিড়াল পালন করতে পছন্দ করেন। কিন্তু আজ আমরা যে মেয়েটির কথা বলছি সে কুকুর বিড়াল বা কোনো পাখি নয়, হিংস্র বন্যপ্রাণী কুমির লালন-পালন করতে পছন্দ করে। একটি-দুটি নয়, ছয়টি কুমির রেখেছেন তিনি বাড়িতে। তিনি এই বিপজ্জনক প্রাণীদের সাথে ঠিক পোষা কুকুরের মতো আচরণ করেন। সম্প্রতি, তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় এই প্রাণীগুলির একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন, যা দেখে মানুষ অবাক। ভিডিওতে ওই তরুণী বলেছেন সে তাদের নিজের পরিবার বলে মনে করে।
তাইওয়ানে বসবাসকারী সাশিমি তার বাড়িতে কুমিরদের অবাধ বিচরণ করতে দেয়। তার বাড়ির প্রতিটি কোণে, কুকুর-বিড়ালের মতো এই কুমিরগুলো অবাধে ঘুরে বেড়ায়। তাইওয়ানের এক ব্রিডার থেকে তিনি তার পোষা প্রথম কুমিরটি কিনেছিলেন। এরপর কুমিরের প্রতি তার আসক্তি বাড়তে থাকে। যদিও তিনি এই প্রাণীদের নিজের সন্তানের মতো যত্ন নেন, তবে প্রাণী বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন এই প্রাণীগুলি যে কোনও সময় তাঁকে আক্রমণ করতে পারে। তবে এখনও পর্যন্ত এই ছয়জনের কেউই সাশিমিকে আক্রমণ করেননি।
সাশিমির পোষা কুমিরের একটির নাম ফিল। সাশিমি জানিয়েছে সে খুব দুষ্টু। কখনও সে সাশিমির জুতো চুরি করে আবার কখনও কিছু জিনিসপত্র টেনে নিয়ে চলে হয়। মেয়েটি সবসময় তাকে সোফার ভিতর থেকে বার করে আর দেখে সেখানে সে তার কিছু না কিছু জিনিসপত্র নিয়ে বসে আছে। সাশিমি তাকে ধরতে গেলে সে দৌড়াতে থাকে। কুকুর যেমন জিনিসপত্র নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় খেলা করে। ফিলের কাছ থেকে খেলনা নিয়ে গেলে সেও রেগে যায়। তার মুখ থেকে জিনিসটা ফিরিয়ে আনতে তাই সাশিমির একটা লাঠি দরকার। নিজের ভিডিওতে অভিজ্ঞতা জানিয়েছেন তিনি।
সাশিমি এই পোষা প্রাণীদের জন্য সে একটি বেডরুম তৈরি করেছে। যেটিতে বালিশ এবং গদি রয়েছে, যার উপর এই সমস্ত কুমির ঘুমায়। সাশিমি তাদের নিজের সবচেয়ে ভালো বন্ধু বলে। তিনি আরও বলেন, তাদেরও অনুভূতি আছে। তারাও ব্যথা অনুভব করে। সমস্ত কুমিরের ত্বকে কাঁটাযুক্ত ডোরা থাকে। কিন্তু তরুণী বলেন যে এই ডোরাগুলির নীচে একটি নরম টিস্যু রয়েছে, যা স্পর্শ করলে এই কুমিরগুলি প্রতিক্রিয়া দেয়। সাশিমিকে এই বিপজ্জনক প্রাণীদের চুম্বন করতেও দেখা যায়। সে বিন্দুমাত্র ভয় না পেয়ে তাদের সাথে মজা করে।