সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট ৮০ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে একটি বড় স্বস্তি ফিরিয়ে দিয়েছে যে কিনা এক ব্যাঙ্ক ডাকাতিতে তার পুরো টাকা হারিয়েছিল। স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার লকারে এই বৃদ্ধের ৩০ লক্ষ টাকা রাখা ছিল যা চুরি হয়ে যায়। চুরি করা টাকা ছিল বৃদ্ধ গোপাল প্রসাদ মহান্তির সারা জীবনের উপার্জন। গোপাল প্রসাদ তার হারানো টাকা ফেরত পেতে বেশ কয়েকবার ব্যাঙ্ক ও আদালতে গিয়েছিলেন, কিন্তু এখন এই বিষয়ে বড় সিদ্ধান্ত দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
সুপ্রিম কোর্ট বৃদ্ধ গোপাল প্রসাদের পক্ষে রায় দিতে গিয়ে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়াকে নির্দেশ দিয়েছে বয়স্কদের ক্ষতিপূরণ দিতে। আদালতের এই নির্দেশে বড়সড় স্বস্তি পেয়েছেন গোপাল প্রসাদ।
বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি এএস ওকার একটি বেঞ্চ রায় ঘোষণা করার সময় ব্যাঙ্ক কে বলেছিলেন যে “তার পুরো জীবনের সঞ্চয় চলে গেছে কারণ তিনি আপনাদের উপর বিশ্বাস এবং আস্থা রেখেছিলেন। বেঞ্চ আরো বলে যে আমরা ব্যক্তিগত ক্ষতির বিচার করতে পারি না তবে এই বৃদ্ধকে অনেক হয়রানি করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত জানিয়ে রাখা যাক যে এই মামলাটি স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার, ঝাড়খণ্ডের বোকারো স্টিল সিটি শাখার। ব্যাঙ্কের গ্রাহক গোপাল প্রসাদ মহান্তি ব্যাঙ্কের লকারে মোট ৩০ লাখ টাকা জমা করেছিলেন, যাতে কিছু নগদ এবং গয়না এবং মূল্যবান জিনিস ছিল৷ গত ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ তে, ব্যাঙ্কে একটি চুরির ঘটনা ঘটে যাতে বৃদ্ধর পুরো অর্থ হারিয়ে যায়।
জাতীয় ভোক্তা বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের কাছে ৩০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে বিরক্ত স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া এই বছরের ৭ই এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল। আদালতে, ব্যাঙ্ক বলেছিল যে এই ধরনের আদেশ আমাদের জন্য অনেক অসুবিধা সৃষ্টি করে কারণ আমরা জানি না ব্যাঙ্কের লকারে কী আছে।
ব্যাঙ্ক আদালতে দাবি করেছিল যে ক্ষতির জন্য তারা কোনও ভাবেই দায়বদ্ধ নয় কারণ তারা ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নিয়ম ও নির্দেশাবলী মেনে চলেছিল। ব্যাঙ্ক বলেছে যে আমরা ব্যাঙ্ক এবং ব্যাঙ্ক চত্বরে প্রয়োজনীয় সমস্ত সরঞ্জাম স্থাপন করেছি কিন্তু দুর্বৃত্তরা সব কটিকে একে একে নিরপেক্ষ করে ফেলেছিল। আদালত ব্যাংকের যুক্তিতর্ক শুনলেও শেষে অবশ্য ওই বৃদ্ধের পক্ষেই রায় দেন। আদালত ব্যাংককে ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।