স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বপ্ন নিয়ে দেশ ছেড়ে গিয়েছিলেন দেশকে স্বাধীন করার লক্ষ্যে। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোস এই নামটাই যথেষ্ট ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামীর ত্যাগের,বিপ্লবের এবং দেশকে ভালোবাসার এক প্রতীক হিসেবে। আজ ৭৬তম স্বাধীনতা দিবসে সেই মানুষটিকেই দেশবাসী কাছে না পাওয়ার দুঃখ সারা জীবন থেকে যাবে। আজ অমৃত মহোৎসব চলছে দেশে আর ঠিক সে সময়। জাপান থেকে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর চিতাভস্ম ভারতে ফেরানোর দাবিতে বিবৃতি জারি সুভাষ-কন্যা অনিতা বসু পাফের। তার সাথে ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে সুভাষচন্দ্র বসুর ডিএনএ আর ওই চিত রহস্যের ডিএনএ একই তাঁর তথ্য প্রমাণ দেশবাসীর সামনে তুলে ধরার অনুরোধ করেছেন নেতাজি সুভাষ কন্যা অনিতা পাফ। যাতে নেতাজি মৃত্যুর রহস্য নিয়ে আর কোন সংশয় না থাকে ।
বহুবার এই কারণে ভারত ও জাপান সরকারের কাছে অনুরোধ করেছিলেন নেতাজি কন্যা অনিতা পাফ। তার কথায় কখনোই মনোযোগ দেয়া হয়নি দুই দেশের সরকারের তরফে। তিনি বলেন এই একটাই উপায় রয়েছে যা নেতাজি মৃত্যুরহস্য নিয়ে এদেশের যাবতীয় সংশয় দূর করতে পারে ।
আজ স্বাধীনতা দিবসের দিন অনিতা জানিয়েছেন , “ভারতের স্বাধীনতা দেখে যেতে পারেননি নেতাজি। কিন্তু তাঁর যদি দেহাবশেষ ভারতে ফিরিয়ে আনা হয়, সেটাই তাঁর প্রতি বর্তমান জনতার শ্রদ্ধার্ঘ্য হবে।” এরপরেই ভারত এবং জাপান দুই দেশের সরকারের কথা তুলে ধরেছেন তিনি । অনিতা বলেছেন, “ভারত সরকার এবং জাপান সরকার এই বিষয়টি নিয়ে আমার মনে হয় সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছে। যে কারণে দু’দেশের সরকারি সময় নষ্ট করছে এই একটা ব্যাপার নিয়ে । নেতাজিকে নিয়ে দুই দেশই একটু সমস্যায় রয়েছেন।”
তাইহোকুর বিমান দুর্ঘটনায় ১৯৪৫ সালে সুভাষচন্দ্র বসুর মৃত্যু হয়েছে কিনা তা নিয়ে হাজারো বিতর্ক রয়েছে। ওই বিমান দুর্ঘটনায় অনেকেই মনে করেন নেতাজির মৃত্যু হয়নি। সেই বিতর্ক বন্ধু হওয়া উচিত বলেই মনে করেন নেতাজি কন্যা । তিনি বলেছেন, “ জাপান সরকার এবং রেনকোজি মন্দিদের পুরোহিত এই পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত ছিলেন এমনটাই JusticeMukherjee Commission-এর রিপোর্ট এ বলা হয়েছে।” নেতাজির সুভাষচন্ত্র বসুর একমাত্র সন্তান অনিতা বসু পাফ এর আগেও রেনকোজি মন্দিরে সংরক্ষিত চিতাভষ্ম ভারতে ফেরানোর প্রস্তাব দিয়েছেন। অনিতা
ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ বছর উপলক্ষে বলেন, “ স্বাধীন ভারতে ফিরে আসার ইচ্ছে ছিল নেতাজির । একমাত্র সন্তান হিসেবে আমি নেতাজির সেই স্বপ্ন এভাবে হলেও পূরণ করা হোক এমনটাই চাই।”