মদের নেশায় ভয়াবহ কান্ড! গুজরাটের সুরা নিষিদ্ধ রাজ্য সুরাটে মদের পার্টি করার সময়, কিছু বন্ধু এক যুবকের মলদ্বারে একটি স্টিলের গ্লাস ঢুকিয়ে দিয়েছিল বলে অভিযোগ, যা এখন অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ডাক্তাররা সফলভাবে বের করেছেন।
তথ্য অনুযায়ী, ওডিশার গঞ্জাম জেলার সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সফলভাবে এক ব্যক্তির মলদ্বার থেকে একটি স্টিলের গ্লাস বের করেছেন। জানা গিয়েছে দিন দশেক আগে একটি মদের পার্টি অনুষ্ঠিত হয়েছিল, যেখানে কৃষ্ণ চন্দ্র রাউত নামে এক ব্যক্তির বন্ধুরা তার মলদ্বারে প্রায় ৮ সেন্টিমিটার ব্যাস এবং ১৫ সেন্টিমিটার দৈর্ঘ্যের একটি গ্লাস ঢুকিয়েছিল বলে অভিযোগ। এরপর কৃষ্ণ চন্দ্র রাউত (বয়স ৪৫ বছর) পেটে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করলেও লজ্জায় এ বিষয়ে কাউকে কিছু বলেননি। সে সুরাটের পাকাই মিলে কাজ করে। সুরাটে চিকিৎসা না করে, তিনি ভুবনেশ্বর থেকে প্রায় ১৪০ কিলোমিটার দূরে বুগুদা ব্লকের বালিপাদারে নিজের গ্রামে ফিরে আসেন।
ঘটনার পর থেকে তিনি তার গোপনাঙ্গের ফুলে ওঠা অনুভব করতে শুরু করেন এবং মলত্যাগ করতে পারছিলেন না। এতে উদ্বিগ্ন হয়ে গত শুক্রবার তার পরিবারের সদস্যরা তাকে বেহরামপুর শহরের এমকেসিজি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সঞ্জিত নায়ক বলেন, এক্স-রে রিপোর্ট হাতে না পাওয়া পর্যন্ত রাউত নামক ওই ব্যাক্তি মলদ্বারে গ্লাস প্রবেশ করার বিষয়ে চিকিৎসকদের কিছু বলেননি।
সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক চরণ পান্ডা বলেন, তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ওই দিনই অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে গ্লাসটি বের করতে আমরা চিকিৎসকদের একটি দল গঠন করি।পান্ডা বলেন, প্রথমে চিকিৎসকরা মলদ্বার দিয়ে গ্লাসটি সরানোর চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু সফল না হলে পরে তারা পেটে একটি ছিদ্র করার সিদ্ধান্ত নেন, কারণ মলদ্বার দিয়ে গ্লাসটি সরিয়ে আনলে সংক্রমণের সম্ভাবনা ছিল।
ডাক্তার জানান, গ্লাসটি বার করে আনতে প্রায় আড়াই ঘণ্টা সময় লেগেছে। রোগীর অবস্থা এখন ভালো এবং আগামী চার-পাঁচ দিন তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। সূত্র জানায় যে তার পেটে একটি কোলেস্টোমি শীট রয়েছে এবং এটি মলত্যাগের জন্য আগামী কয়েকদিন অব্যাহত থাকবে। বর্তমানে তার প্রস্রাব করতে কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু মদের নেশায় কে বা কারা এমন করলো সেই বিষয়ে ওই ব্যাক্তি কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি বলেই খবর।