করোনা আবহে গত ২ মাস ধরে জনসাধারণের জন্য বন্ধ লোকাল ট্রেনের সুবিধা। আগের ঘোষনা অনুযায়ী বিধি নিষেধ জারি হয়েছিল ১৫ই জুলাই পর্যন্ত। তারপর কি মিলবে ছাড়। প্রশ্ন ছিল গোটা রাজ্যবাসীর মনে। কিন্তু আপাতত বহালই বেশীর ভাগ বিধি নিষেধ। রাজ্যে কার্যত লকডাউনের মেয়াদ বাড়ল ৩০ জুলাই পর্যন্ত। স্টাফ স্পেশাল ট্রেন ছাড়া বন্ধই থাকছে লোকাল ট্রেন। তবে জনসাধরণকে দেওয়া হল মেট্রো রেলের সুবিধা। শনিবার ও রবিবার বাদ দিয়ে সপ্তাহে বাকি ৫ দিন চলবে মেট্রো রেল। তবে পাতাল রেল চলবে ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে , যাত্রীদের মাস্ক পরা থাকবে বাধ্যতামূলক। পাতাল রেলকে নিয়মিত স্যানিটাইজ করা ও পাতাল রেলের ভেতর কোভিড সংক্রান্ত বিধি পালনের নজরদারির বিষয়টি দেখাশুনা করার দায়িত্ব থাকছে স্থানীয় প্রশাসন ও মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষের উপরে।রাজ্যে অন্যান্য পাবলিক ট্রান্সপোর্ট যেমন বাস, ট্রাম, ও ফেরি সার্ভিস ইত্যাদি চালু থাকছে।
১৬ জুলাই থেকে দোকান-বাজার-শপিং মলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য থাকছে না কোনো সময়বিধি। ১৬ জুলাই থেকে ৫০ শতাংশ উপস্থিতি নিয়ে খোলা যাবে শপিং মল। রাজ্য এবং জাতীয় স্তরের সাঁতার প্রশিক্ষণের জন্য খোলা যাবে সুইমিং পুল। করোনা বিধি মেনে সকাল ৬টা থেকে ১০টা পর্যন্ত শর্তসাপেক্ষে খোলা রাখা যাবে সুইমিং পুল।সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টে পর্যন্ত খোলা থাকবে ব্যাঙ্ক।
আপাতত রাজ্যের সব স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় , সিনেমা হল, বন্ধ থাকবে। স্পা বন্ধ থাকবে। নিষেধাজ্ঞা থাকছে সমস্ত ধরনের রাজনৈতিক, সামাজিক, ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের উপর। কোনওরকম সামাজিক জমায়েত করা যাবে না। বিয়েবাড়িতে নিমন্ত্রিতের সংখ্যা থাকবে ৫০ জন। শেষকৃত্যে যোগ দিতে পারবেন ২০ জন।
সকাল ৬টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকবে পার্ক। তবে শুধুমাত্র যারা করোনা টিকা পেয়েছেন তারাই পারবেন পার্কে প্রবেশ করতে।
ইমারজেন্সি ও অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত সরকারি অফিস, টেলিকম, প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া, দমকল, ইন্টারনেট, গণবন্টন ইত্যাদি খাদ্য ও অসামরিক পরিষেবা আগের মতোই চালু থাকবে। আর বাকি সরকারি অফিসগুলিতে স্বাভাবিক কাজের সময় ২৫ শতাংশ কর্মীর উপস্থিতি নিয়ে কাজ চলবে। অফিসের সেই বিভাগের প্রধান কর্মীদের হাজিরা সংক্রান্ত বিষয়ে দিনক্ষণ স্থির করবেন।