এই মুহূর্তে গোটা বিশ্বের ত্রাস করোনাভাইরাসের নতুন স্ট্রেন ওমিক্রন। এই নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। কিন্তু, এই আতঙ্কের মধ্যেই আশার কথা শোনাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁদের কথায়, ওমিক্রণ সংক্রমণ একটি ‘ভালো লক্ষণ’। দক্ষিণ আফ্রিকায় এই মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়েছে স্ট্রেনটি। এই নিয়ে গোটা বিশ্বকে সতর্ক করছে WHO।
কেন ওমিক্রণের ছড়িয়ে পড়া ‘ভালো লক্ষণ’?
এই ভ্যারিয়্যান্ট নিয়ে আশার আলো দেখছেন গবেষকরা। ভাইরোলজিস্ট Marc van Ranst এক কথায়, ‘ ডেল্টা ভ্যারিয়্যান্টের সংক্রমণে করোনা আক্রান্ত রোগীর শরীরে একাধিক উপসর্গ দেখা যেত। এই ভ্যারিয়্যান্ট অত্যন্ত ঘাতক বলে প্রমাণিত হয়েছে। অন্যদিকে, ওমিক্রণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে ঠিকই, কিন্তু, আক্রান্তের দেহে অনেক কম উপসর্গ দেখা যায়। এদিকে ওমিক্রন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। সেক্ষেত্রে ডেল্টার পরিবর্তে ওমিক্রনকে জায়গা করে দেওয়া যেতে পারে। এটি একটি পজিটিভ খবর।’
উল্লেখ্য, ডেল্টা ভ্যারিয়্যান্ট প্রথম ভারতে পাওয়া গিয়েছিল। বর্তমানে বিশ্বের সমস্ত নতুন কোভিড আক্রান্তদের ৯০ শতাংশের দেহতেই পাওয়া যাচ্ছে ডেল্টা স্ট্রেন। ডেল্টা ওমিক্রনের থেকে বেশি ঘাতক বলে মনে করা হচ্ছে। আর এই কারণেই ওমিক্রনকে ডেল্টার সঙ্গে পরিবর্তন করার বিষয়টি বলছেন গবেষকদের একাংশ।
Omicron-এর উপসর্গ:
গবেষকরা বলছেন, এই স্ট্রেনের প্রভাব অত্যন্ত সামান্য হয়। এমনকী, আক্রান্তদের হাসপাতালে ভর্তি করার প্রয়োজনও হচ্ছে না। স্বাভাবিকভাবেই সুস্থ হয়ে উঠছেন তাঁরা।
দক্ষিণ আফ্রিকার এক চিকিৎসক জানাচ্ছেন—
অন্যান্য করোনা রোগীর যেমন স্বাদ-গন্ধ চলে যাওয়ার সমস্যা থাকে এক্ষেত্রে তা সম্পূর্ণ আলাদা। ওমিক্রনে আক্রান্তদের দেহে ক্লান্তিভাব অনেক বেশি থাকে। এছাড়া গলা ব্যাথা, পেশীতে ব্যাথা, শুকনো কাশির সমস্যা থাকে। গায়ে জ্বর থাকে। ওমিক্রণ অনেক কম ঘাতক হিসেবে সামনে এসেছে এখনও পর্যন্ত , জানা গিয়েছে এমনটাই।