গত কয়েকদিন ধরেই সোনারপুর এর একটি পাড়ায় আসা যাওয়া শুরু হয়েছিল দুই কাগজ কুড়ানী মহিলার। অন্ধকার নামলেই একটা বস্তা কাঁধে হাজির হতেন তারা। রাস্তার, বাড়ির আশেপাশে, থাকা নানা কাগজের টুকরো আর জঞ্জাল আবর্জনা কুড়িয়ে বস্তায় ভরে নিয়ে যেত তারা। প্রতিদিন সন্ধ্যা হলেই দেখা মিলত তাদের। গত কয়েকদিন ধরেই সোনারপুরের একটি অঞ্চলে এই দৃশ্য চোখে পড়তো পাড়ার লোকজন এর। তারা যদিও কিছু সন্দেহ করেনি। কিন্তু কয়েকদিন পার হতেই সামনে এল ভয়ঙ্কর সত্যতা। পুলিশের কাছ থেকে ওই দুই কাগজ কুড়ানী মহিলার আসল পরিচয় জেনে আতঙ্কিত হয়ে গেছে এলাকাবাসী। পুলিশ সুত্রে খবর ওই মহিলার কাছ থেকে না হলেও পাওয়া গেছে ১০ লক্ষ টাকার জিনিসপত্র। কি নেই তাতে? বাসন, ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী, টাকা পয়সা এমনকি গয়নাগাটি। আর এর সবকিছুই গত কয়েকদিন ধরে ওই এলাকারই কারোনা কারোর বাড়ি থেকে গায়েব হয়েছিল। খবরটি প্রকাশিত হয়েছে tv9 বাংলায়।
অর্থাৎ কাগজ কুড়ানোর বেশ নিয়ে ঢুকে পাড়ার লোকের ঘর থেকে নানা রকম জিনিসপত্র চুরি করেছে ওই দুই মহিলা। অবশেষে সোনারপুর থানার পুলিশের হাতে ধরা পড়েন দুই মহিলা চোর। ধৃতদের নাম জানা গেছে বিশাখা সরকার এবং রহিমা খাতুন। পুলিশি জেরার মুখে তারা জানিয়েছে তাদের বাড়ি দক্ষিণ 24 পরগনার ঘুটিয়ারি শরিফ এলাকায়। তাদের কাছ থেকে পাওয়া গিয়েছে মোট ১০ লক্ষ টাকার সামগ্রী। সোমবার রাতে সোনারপুর পুলিশ নাইট পেট্রোলিংয়ের সময়ে তাদেরকে আটক করে।
তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে উঠে এসেছে নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গিয়েছে, ওই দুই মহিলা সকালে ট্রেন ধরে সোনারপুর চলে আসে। সকালবেলা তারা রেইকি করে। সন্ধ্যা নামলেই বের হয় বস্তা নিয়ে কাগজ কুড়ানোর ছদ্মবেশে। পাড়ার এই গলি ওই গলি দিয়ে বেড়ায় তারা। যে বাড়িতে অন্ধকার বা লোকজন চোখে পড়ে না, সেই বাড়িতেই ঢুকে পড়ে তারা। যা কিছু চোখে পড়ে সবই ছিনতাই করে নেন। সেটা যাই হোক, গয়না, টাকা, ইলেকট্রনিক্স জিনিস বা কাঁসার বাসন। এইভাবে প্রায় সৈন না বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটলে প্রশাসনে জানায় স্থানীয় বাসিন্দারা। তারপরই সন্ধ্যাকালীন পেট্রোলিং এ নামে সোনারপুর থানার পুলিশ।
সোমবার রাতেও নাইট পেট্রোলিং করছিল সোনারপুর থানার পুলিশ। তখনই ওই দুই মহিলাকে সন্দেহভাজন মনে হয় পুলিশের। তারপরই পুলিশ আটক করলে দেখা যায় আসল পান্ডা এরাই। ওই দুই মহিলার কাছ থেকে চুরির সামগ্রী ছাড়াও পাওয়া গিয়েছে তালা ভাঙার সরঞ্জামও। শুধু এরাই নাকি এর পেছনে আরও কোনো বড় চক্রের হাত আছে তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।