জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও গোপনে অনেক অবৈধ কাজ করা হচ্ছে। একটি রিপোর্ট অনুসারে, ২০২০ সালে, ফেসবুক প্ল্যাটফর্ম ব্যাবহার করে ৫৯% যৌন পাচারের কাজে নিয়োগ করা হয়েছিল। শিশুদেরও যদি এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হয়, তাহলে এই পরিসংখ্যান গিয়ে দাঁড়ায় ৬৫ শতাংশে। ফেসবুকের পর কিশোরদের মধ্যেও জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া যেমন ইনস্টাগ্রাম ও স্ন্যাপচ্যাটের মাধ্যমে শিশুরাও যৌন পাচারের ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মানব পাচারকে অপরাধ হিসেবে যারা তুলে ধরেছেন সেই ট্রাফিকিং ভিকটিম প্রোটেকশন অ্যাক্ট (টিভিপিএ) এর বার্ষিকীতে এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছে। হিউম্যান ট্রাফিকিং ইনস্টিটিউট ফেডারেল হিউম্যান ট্রাফিকিং ২০২০ বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। যাতে বলা হয়েছে যে সক্রিয় যৌন পাচার করতে প্রায় ৫৯ শতাংশ অনলাইন নিয়োগ ফেসবুকেই হয়েছিল।
ফেসবুক যৌন পাচারকারীদের মধ্যে একটি খুব সাধারণ প্ল্যাটফর্ম হয়ে উঠছে। ভুক্তভোগীদের ৬৫ শতাংশকেই ফেসবুকের মাধ্যমে পুশ করা হয়েছিল। যেখানে প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে এই সংখ্যা ছিল ৩৯ শতাংশ, কিন্তু ভয়ঙ্কর ভাবে শিশুদের ক্ষেত্রে তা দাড়ায় ৬৫ শতাংশে। ফেসবুকের পরে, ইন্সটাগ্রাম এবং স্ন্যাপচ্যাটের মতো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলি শিশুদের নিয়োগের জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল।
এর জন্য অন্যান্য শীর্ষ প্ল্যাটফর্মগুলি হল উই চ্যাট (৪৩ শতাংশ) এবং ইনস্টাগ্রাম (৭ শতাংশ)। এটি ২০২০ সালে বা তার আগের বছরগুলিতে মেলা অভিযোগের উপর আপিল বা মুলতুবি বিচারও অন্তর্ভুক্ত করে। ৫৭৯টি সক্রিয় ক্ষেত্রে, ২০২০ সালে এই বিষয়ক মোট ১৬৫টি মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছিল। বেশির ভাগ মামলা করেছে পাচারের শিকার ব্যক্তি বা তাদের পক্ষের কেউ।
হিউম্যান ট্রাফিকিং ইনস্টিটিউট ভিক্টর বুট্রোস সিবিএসএনকে বলেছেন যে ইন্টারনেট একটি প্রধান হাতিয়ার হয়ে উঠেছে যেটি এই কাজে নিয়োগের জন্য ব্যবহার করে। এর জন্য তারা সাধারণ সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করছে। বিষয়টি চিন্তার
২০২০ সালের জুন মাস থেকে ফেসবুক অনলাইনে শিশু যৌন নির্যাতনের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য একটি উদ্যোগ চালু করেছে। যেখানে তারা শিশুদের শোষণ করে এমন ফটো এবং ভিডিও শনাক্ত করছে এবং সরিয়ে দিচ্ছে। এই প্ল্যাটফর্মে কোনো অপ্রাপ্তবয়স্ক এবং একজন প্রাপ্তবয়স্ক -এর মধ্যে অনুপযুক্ত কথোপকথন বন্ধ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।