দোকান থেকে নিজের আর মেয়ের জন্য খাবার কিনে এনেছেন এক মহিলা। গরম গরম ভাজা পরোটা। বাড়িতে ফিরে মা মেয়ে আয়েস করে বসেছিলেন খেতে। কিন্তু খাবারের প্যাকেট খুলে পরোটায় কামড় বসাতে গিয়ে চক্ষু ছানাবড়া! মোড়কের গায়ে লেপটে আছে সাপের খোলস। ভয়াবহ এই অভিজ্ঞতার সাক্ষী থাকলেন কেরলের তিরঅনন্তপুরমের চন্দামুক্কুর এক মহিলা। অভিযোগ পেয়ে রেস্তরাঁটি আপাতত বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন।
ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার। সেদিন দুপুরবেলা এক মহিলা নিজের আর মেয়ের জন্য পরোটা কিনতে চন্দামুক্কুর একটি রেস্তরাঁয় গিয়েছিলেন। মহিলার নাম প্রিয়া। দু’টি পরোটা কিনে বাড়ি চলে আসেন তিনি। একটা পরোটা মেয়েকে দিয়ে আরেকটা নিজে খাওয়ার জন্য বার করেন। ইতিমধ্যেই খাওয়া শুরু করে দিয়েছিল তাঁর মেয়ে। পরোটাটি খেতে গিয়ে কিছু একটা সন্দেহ হয় প্রিয়ার। নজর পড়ে পরোটার মোড়কের দিকে। একটু ভালো করে লক্ষ্য করে চক্ষু চড়কগাছ। সাপের খোলস লেপ্টে আছে মোড়কে আর পরোটাতেও লেগেছে। বলাই বাহুল্য খাওয়া ছেড়ে পুলিশের কাছে পৌঁছয় ওই মহিলা ও তার মেয়ে।
পুলিশ অভিযোগ পেয়ে বিষয়টি জানায় ফুড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্ট এর কাছে। তারা ওই খাবারের দোকানে তৎপরতার সাথে অভিযান চালান। ইন্সপেকশনে পৌঁছে রেস্তোরাঁর রান্নাঘর দেখে হতবাক আধিকারিকরা। ভীষণ নোংরা ও কোনো সেফটি ছাড়াই চলছে খাবার তৈরি। চতুর্দিকে ছড়িয়ে ময়লা, আবর্জনা। সাথে সাথেই তারা সিল করে দেয় এই রেস্তরাঁটি। নাম প্রকাশ না করে এক খাদ্য নিরাপত্তা আধিকারিক জানিয়েছেন, যে কাগজ ব্যাবহার করে পরোটা দুটি মুড়ে দেওয়া হয়েছিল, তাতেই লেপ্টে ছিল সাপের খোলস। কিন্তু তাড়াহুড়োতে সেটা খেয়াল করেননি রেস্তরাঁকর্মীরা। তাতেই বিষয়টি সামনে আসে।