যাত্রী সংখ্যা মাত্র এক। হ্যাঁ, শুধুমাত্র একজন যাত্রী কে নিয়েই উড়ে গেলো কায়রো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সুদানগামী যাত্রীবাহী একটি বিমান। কিন্তু এমন কি হল যাতে এমন কাজ করতে বাধ্য হলেন বিমান সংস্থার কর্তিপক্ষ।
এর কারন হলো কোভিড এর থাবা। এক জন যাত্রীর কোভিড পজ়িটিভ। সেই কারণেই বাকি যাত্রীদের সুরক্ষার কথা ভেবে তাঁকে প্রথমে উড়ানে নিতেই চায় নি পাইলট। কায়রো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সুদীর্ঘ দর কষাকষির পরে শেষ পর্যন্ত মাত্র এক জন যাত্রীকে নিতেই রাজি হয় সেই পাইলট।
যাকে ঘিরে এত কাণ্ড তিনি হলেন ৪২ বছর বয়সি এক মহিলা, যিনি সুদানের বাসিন্দা। খার্তুম থেকে কায়রোয় আসার পরে তার আরটি-পিসিআর পরীক্ষায় কোভিড সংক্রমণ পজেটিভ আসে। কোভিড পজেটিভ দেখে তাঁকে দেশে ঢুকতে রাজি হননি মিশরীয় কর্তৃপক্ষ। সেই মহিলাকে জানানো হয়, তাকে তার দেশে ফিরে যেতে হবে।
কিন্তু বাকি যাত্রীদের সুরক্ষার কথা ভেবে তাকে উড়ানে নিতে গররাজি ছিলেন বিমানের ক্যাপ্টেন। কায়রো বিমানবন্দর তরফে সেই পাইলটকে বোঝানো হয়, কোভিড পজেটিভ সেই মহিলা কে বিমানের শেষের দিকে আলাদা বসানো হবে, পিপিইও পরিয়ে দেওয়া হবে তাকে। তা সত্ত্বেও রাজি হয়নি পাইলট। কিন্তু কোভিড রেজাল্ট পজেটিভ আসায় রোগিণীর পক্ষে মিশরে প্রবেশ করাটাও তখন আর সম্ভব ছিলো না।এই নিয়ে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা চাপান উতরের পরে ঠিক হয়, বিমানটি খার্তুমে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় শুধুমাত্র ওই রোগিণীকে নিয়েই। তিনি বাদে অন্য সব যাত্রীর উড়ান কে তখনকার মতন বাতিল করা হয়। তাদের জন্যে পরবর্তী উড়ানের ব্যাবস্থা করা হয়। শেষ পর্যন্ত খার্তুমের বিমান চার বিমানকর্মী ও এক যাত্রীকে নিয়ে উড়ে যায়।