Dainik Sangbad – দৈনিক সংবাদ
Image default
ট্রেন্ডিং

বৃষ্টির পর নদীর জল কমতেই মিলল প্রচুসংখ্যক রুপোর মুদ্রা, কুড়িয়ে নিতে ভিড় জমিয়েছেন শয়ে শয়ে মানুষ

মধ্যপ্রদেশের পাঁচওয়ালি গ্রামে সিন্ধ নদীর ধারে স্থানীয় বাসিন্দাদের ব্যস্ততা দেখাত মতো! চলছে নদীর পাড়ে জোরদার খোঁজাখুঁজি! কারণ শুনলে চোখ কপালে উঠবে! নদীর জলের তলায় নাকি মিলছে মাটি সেই ব্রিটিশ আমলের রুপোর মুদ্রা!

সাম্প্রতিক সময়ে বৃষ্টি আর বন্যায় নাজেহাল মধ্যপ্রদেশ। মধ্যপ্রদেশে মুষলধারে বৃষ্টি চলায় বহু জেলায় সৃষ্টি হয়েছে বন্যার বিপর্যয়ের। আর এই বন্যা কবলিত অশোক নগরের পাঁচওয়ালি গ্রাম থেকে সামনে এল এমন এক অদ্ভুত খবর। যা শুনে চমকে উঠেছেন সকলেই। প্রচণ্ড বৃষ্টির কারণে মধ্যপ্রদেশের সিন্ধ নদীতে জলের পরিমাণ অনেকটাই বেড়ে গিয়েছিল। কিন্তু রবিবার সকালে নামে নদীর জল। কিন্তু নদীর জল কমতেই দেখা যায় সিন্ধ নদীর মাটিতে পড়ে রয়েছে রাশি রাশি রুপোর মুদ্রা!

খবর লাগোয়া গ্রামে চাউর হয়ে যেতে অবশ্য খুব একটা বেশি সময় লাগেনি। দ্রুত এই রুপোর মুদ্রার খবর ছড়িয়ে পড়তেই বিপুল সংখ্যক গ্রামবাসী নদীর তীরে পৌঁছয় রুপোর মুদ্রা খুঁজে বার করতে। এই রুপোর মুদ্রাগুলি আবার যেই সেই সময়ের নয়, দেখা যাচ্ছে এই মুদ্রাগুলির উপর ইংরেজি তে কিছু লেখা। মনে করা হচ্ছে এইগুলি ব্রিটিশ সময়কালের রৌপ মুদ্রা। যার ফলে কোনো পুঁতে রাখা গুপ্তধনের ধারণা জোরালো হয়েছে গ্রমবাসীদের মনে।

গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, আগে এই নদীর চর থেকে কখনও কখনও একটি বা দু’টি এরকম মুদ্রা কেউ কেউ পেত ঠিকই, কিন্তু প্রবল বৃষ্টির পর বন্যার পরে দেখা যায় অনেক জায়গায় একসাথে নয়টি দশটি এরকম রূপার মুদ্রা পাওয়া যাচ্ছে। যেন মনে হচ্ছিল সত্যিই বন্যার জল কোথাও থেকে গুপ্তধন ভাসিয়ে এনেছে। তাই এই খবর দাবানলের মত ছড়িয়ে পড়তেই বহু মানুষ নদীর তীরে পৌঁছে যান কয়েন খুঁজতে।

পাঁচওয়ালি গ্রামের এসডিপিও এই ঘটনার ব্যাপারে জানান, তিনি সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে এই রুপোর মুদ্রার ঘটনার কথা শুনেছেন। এক অফিসারকে পাঠানো হয়েছে ঘটনাস্থলে বলেও জানিয়েছেন তিনি। পুরো ব্যাপারটা কি তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রশাসন তদন্ত চালাচ্ছে বলে জানানো হয়েছে। কী ভাবে এই রুপোর মুদ্রাগুলি নদীতে ভেসে এল, তা এখনও অবধি জানা যায়নি।

কয়েকজন স্থানীয় গ্রামবাসী বলছেন, একটি বাড়িতে এই গুপ্তধন লুকানো ছিল। বন্যার জলে সেগুলিকেই ভাসিয়ে এনেছে, বলে দাবি তাঁদের। আবার অনেকে মনে করছেন ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণেই হয়ত একশ বা দেড়শ বছর আগে লোকেরা এই কয়েন নদীতে ফেলেছিল। এখন সেই কয়েনই আবার নদী বন্যার জলে তীরে ভাসিয়ে আনছে। তবে যে ভাবেই রুপোর মুদ্রা ভেসে আসুক না কেন তাই নিয়ে বেশি মাথা ঘামাতে রাজি না গ্রামবাসীরা, তাঁরা এখন ভীষণ ব্যস্ত রুপোর মুদ্রা কুড়োতে।

Related posts

পাঁচ ঘণ্টা ধরে টানা সেক্স! বয়ফ্রেন্ডের এত এনার্জি কী ভাবে! উত্তর শুনে চোখ কপালে প্রেমিকার

News Desk

তিরুপতি বালাজির মন্দিরে নারী পুরুষ নির্বিশেষে সকলে চুল দান করেন কেন! জানেন এই রহস্য!

News Desk

একসাথে দেওয়া হয়েছিল ১০টা ট্যাবলেট! বৃদ্ধার মৃত্যুতে বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে অভিযোগ পরিজনের

News Desk