মস্কিষ্ক রেখা, হৃদয় রেখা, জীবন রেখার মতো নানা ধরনের রেখা থাকে মানুষের হাতের তালুতে। আলাদা আলাদা বৈশিষ্ট্য আছে বিভিন্ন রেখার। সেরকমই এক অন্যতম রেখা বিষ্ণু রেখা হল। বিষ্ণু রেখা কোনো ব্যক্তির হাতে থাকলে সেই ব্যক্তির উপর ভগবান বিষ্ণুর আশীর্বাদ থাকে বলে মনে করা হয়। আজ আলোচনা করতে চলেছি সেই বিষ্ণু রেখা নিয়েই।
বিষ্ণু রেখা কোথায় থাকে?
অত্যন্ত শুভ মনে করা হয় বিষ্ণু রেখাকে। এই রেখা যে ব্যক্তির হাতে থাকে তাঁরা অত্যন্ত ভাগ্যবান হন। কিন্তু এই বিষ্ণু রেখাটি আদতে কি? জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে বিষ্ণু রেখা থাকে যাদের হাতে তাদের উপর ভগবান বিষ্ণুর কৃপা থাকে। কিছুটা ইংলিশ অক্ষর বি এর মতো দেখতে হয় বিষ্ণু রেখা। হৃদয় রেখা থেকে একটি রেখা বৃহস্পতি পর্বতের দিকে এগিয়ে যায় এবং হৃদয় রেখাকে দুই ভাগে ভাগ করে দেয় হস্তরেখা শাস্ত্র অনুযায়ী। গুরু পর্বতের উপরে হৃদয় রেখার সমাপ্তি ঘটে। এবার সেই সমাপ্তি পর্যায় থেকে একটি শিরা তর্জনী ও মধ্যমার মাঝখানে অবস্থান করে। ঠিক সে স্থানটি থেকে গুরু পর্বতের দিকে আর একটি শিরা হাতের তর্জনী হয়ে অবস্থান নেয় তাকেই বলা হয় ‘বিষ্ণু রেখা’। মজবুত এবং দুর্বল দুই-ই হতে পারে বিষ্ণু রেখা । বিষ্ণু রেখা এই দুই ক্ষেত্রেই ব্যক্তির জীবনে প্রভাব বিস্তার করে।
সব রেখারই গুরুত্ব রয়েছে পৃথক পৃথক। ব্যক্তির কেরিয়ার, বিবাহ, আর্থিক পরিস্থিতি ইত্যাদি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এই রেখার মাধ্যমেই নির্ধারিত হয়। বিষ্ণু রেখা থাকে যে জাতকের হাতে, তাঁরা যে কোনও কাজেই সাফল্য লাভ করেন। আবার জীবনে সমস্যা কম দেখা যায় যে ব্যক্তির হাতে এই রেখা থাকে তাঁদের। আবার সমস্যার সম্মুখীন হলেও এই জাতকরা, তা শীঘ্র দূর হয়ে যায়। এমন জাতকরা নিজের ব্যক্তিত্বের কারণে সমস্যায় জড়ান। কিন্তু তাঁরা সহজে সমস্যার সমাধান খুঁজে বার করেন বিষ্ণুর প্রিয় হওয়ায়। জাতকের হাতে বিষ্ণু রেখা থাকলে, তাঁরা সমাজে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। বিরোধীরা এই জাতকদের পরাজিত করতে পারে না কোনোভাবেই। সর্বদা সত্যের পথে হাঁটেন বিষ্ণু রেখার অধিকারী জাতকরা। এই জাতকরা কুকাজ থেকে দূরে থাকেন। আবার ভুল কাজ করে ফেললে দুষ্পরিণাম ভোগ করে থাকেন তৎক্ষণাৎ।