দুই বছর ধরে প্রেমিকের সঙ্গে থাকছিলেন এক তরুণী। একদিন হঠাৎ মেয়েটি হারিয়ে যায়। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার কোনো হদিস পাওয়া যাচ্ছিল না। এরপর তার বোন থানায় অভিযোগ করেন। তদন্তে সামনে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
ছত্তিশগড়ের রায়গড়ে প্রেমিকাকে নৃশংসভাবে খুন করেছে তারই প্রেমিক। তিনি রীতিমত ফিল্মি স্টাইলে ঘটনাটি সম্পাদন করেছিলেন। লাশ উদ্ধারের পর পুলিশ সদস্যরাও ঘটনার বিভৎসতায় স্তম্ভিত। পুলিশ অভিযুক্তকে আটক করে জেলহাজতে পাঠায়। তবে এ ঘটনার পর নিহতের পরিবার এখনো আতঙ্কে আর শোকে রয়েছে।
নগরীর চক্রধরনগর থানা এলাকায় দুই বছর ধরে প্রেমিকের সঙ্গে বসবাস করছিলেন এক তরুণী। একদিন যুবক প্রেমিকাকে দেখে ফেলে অন্য কারো সঙ্গে। এর পর হত্যার নারকীয় চক্রান্ত হয়। বান্ধবীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুন করে বাড়ির আঙিনায় পুঁতে রাখে সে। তার উপরে গাছ লাগানো হয়ে। যাতে এই ঘটনার কথা কেউ জানতেও না পারে।
উঠোনের মাটি দেখে বোনের সন্দেহ হয়, ১৬ সেপ্টেম্বর নিহতের বোন থানায় নিখোঁজ রিপোর্ট দায়ের করেন। জানা গেছে, গত ১লা সেপ্টেম্বর থেকে তার বোন নিখোঁজ রয়েছে। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। নিখোঁজ প্রতিবেদন লেখার দ্বিতীয় দিন বাড়ির দরজা খুলে তিনি দেখেন, উঠানের মাটি খোদাই করা। সেখানে কিছু গাছপালা লাগানো আছে।
বোনের সন্দেহ হল, তাই সে মাটি সরাতে লাগল। এরই মধ্যে বোনের লাশ দেখতে পেয়ে পায়ের নিচের মাটি সরে যায়। এ বিষয়ে তিনি পুলিশকে অবহিত করেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্বজনদের উপস্থিতিতে লাশ উদ্ধার করে। আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অভিযুক্তর খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ।
যশপুর থেকে গ্রেফতারকৃত আসামী
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, “নিহতের প্রেমিক খগেশ্বর ওরফে অজয় যাদবকে যশপুর জেলা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সে খুনের কথা স্বীকার করেছে। অভিযুক্ত বলেছে যে সে প্রেমিকাকে এক যুবকের সঙ্গে আপসহীন অবস্থায় দেখেছিল।” এই ঘটনার পর তিনি খুবই ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন, তাই তিনি এই পদক্ষেপ নিয়েছেন।”