স্কুলে বন্ধুত্ব ছিল কিন্তু এর পর আর দেখা হয়নি। হঠাৎ ২৫ বছর পর ফেসবুকে তাঁদের ফের কথাবার্তা শুরু হয়। ওই মহিলা ও অভিযুক্ত শান্তনু ২৫ বছর আগে জয়পুরের একটি স্কুলে পড়তেন। শান্তনু ওই মহিলাকে বলেছিলেন যে তিনি বর্তমানে একজন সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার এবং চাকরিসূত্রে খড়্গপুরে থাকেন। ফেসবুকেই কথা বলার সূত্রে মহিলা তাঁকে জানান যে তিনি আগামী ২৩ জানুয়ারি জয়পুর থেকে লাজপত নগরে আসছেন। এই নিয়ে শান্তনু তাঁর সঙ্গে দেখা করার একটি প্রোগ্রামও তৈরি করেন এবং তাঁরা দুজনেই লাজপত নগরে একত্রে দেখা করেন। এরপর অভিযুক্ত ওই মহিলাকে পাহাড়গঞ্জের একটি হোটেলে নিয়ে যায়।
মহিলা জানান, হোটেলে পৌঁছেই শান্তনু তাঁকে ধর্ষণ করেন। এরপর মহিলাকে পুরো ঘটনাটি চেপে যাওয়ার কথা বলা হয়, এমনকী অভিযুক্ত মহিলাকে হুমকি দেন যদি তিনি কাউকে জানান তাহলে তাঁর প্রাণ সংশয়ও ঘটতে পারে। এরপর ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান শান্তনু। মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে, পুলিশ তাঁর প্রাথমিক চিকিৎসা করান এবং মামলা নথিভুক্ত করার পর কাউন্সেলিং করে শান্তনুর খোঁজ শুরু করে। তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে পুলিশ এই কেসের জন্য একটি দল তৈরি করেছে যারা শান্তনুর খোঁজে খড়্গপুরে অভিযান চালাবে।
ওই মহিলা জানান, শান্তনুর সঙ্গে পড়াশোনা করলেও স্কুলে কোনও দিনই বিশেষ বন্ধুত্ব ছিল না। ফেসবুকে একে অপরের সঙ্গে ২৫ বছর পরে দেখা হচ্ছে জেনে দু’জনেই বেশ ইমোশনাল হয়ে পড়েন। ফেসবুকে কিছুদিনের বন্ধুত্বের পরে, তাঁরা দেখা করার সিদ্ধান্ত নেন। তবে কিছু সময়ের জন্যই তাঁদের দুজনের মধ্যে কথাবার্তা হয়েছিল, সেটিও কেবল ভালো বন্ধু হিসেবে। স্কুল জীবনের বন্ধু শান্তনু যে তাকে ধর্ষণ করবেন, তেমনটা কখনওই ভাবেননি ওই মহিলা। মহিলা এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন যে, তাঁর দিল্লি আসার সময়সূচী আগেই ঠিক করা ছিল এবং তিনি নিজের কিছু কাজ নিয়ে দিল্লিতে আসার পরিকল্পনা করেন। এ কথা শান্তনুকে জানালে তিনিও দিল্লি আসার কথা বলেন এবং দেখা করার সময়ও ঠিক করেন। এর পর শান্তনু তাঁর সঙ্গে দেখা করলেও, তাঁর এ হেন নোংরা পরিকল্পনা ছিল বলে মহিলা বুঝতেই পারেননি, হঠাৎই এমন ঘটনা ঘটে যাওয়ায় প্রতিবাদ করার সুযোগই হয়ে ওঠেনি মহিলার!