আপনি করোনার টিকা (COVID vaccine) নিয়েছেন। টিকাকরণের ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্টও করে দিয়েছেন। এবার শখ করে টিকার সার্টিফিকেটের (COVID-19 vaccination certificate) ছবিও তুলে ফেলে শেয়ার করার কথা ভাবছেন সেটাও? দয়া করে ভাবুন এমন কিছু করার আগে। আপনার এতে বিপদই বাড়বে। কেন্দ্রীয় সরকার এমনই পরামর্শ দিচ্ছে।
কেন্দ্র ঠিক কী জানিয়েছে? স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক তাদের ওই পরামর্শ ‘সাইবার দোস্ত’ টুইটার হ্যান্ডল থেকে শেয়ার করেছে। সেখানে পরিষ্কার বলা হয়েছে, ‘‘আপনার টিকাকরণের সার্টিফিকেট শেয়ার করার আগে সাবধান সোশ্যাল মিডিয়ায়।’’
কিন্তু কেন? কেন সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা উচিত নয় সার্টিফিকেটের ছবি? ওই টুইটে সেকথাও পরিষ্কার জানানো হয়েছে। জানানো হয়েছে, ‘‘আপনার নাম ও অন্যান্য ব্যক্তিগত তথ্য থাকে কোভিড-১৯ সার্টিফিকেটে। তাই সাইবার অপরাধীরা তার অপব্যবহার করতেই পারে এটি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলিতে শেয়ার করলে।’’
প্রসঙ্গত, করোনা টিকার প্রথম ডোজ নিলে যে সার্টিফিকেটটি সেটি অস্থায়ী। দ্বিতীয় ডোজের পরেই চূড়ান্ত সার্টিফিকেট মেলে। এটি কিন্তু আধার কার্ড বা অন্যান্য নথির মতোই বিদেশ ভ্রমণের সময় গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে । কেননা টিকাকরণের প্রমাণ না দিতে পারলে এই মুহূর্তে বহু দেশই আপনাকে অনুমতি দেবে না সেখানে ঢোকার ।
প্রাথমিক টিকা সার্টিফিকেটে ঠিক কী কী তথ্য থাকে? তাতে কোন সংস্থার টিকা, টিকাকরণের তারিখ ও সময়, টিকাকরণ কেন্দ্রের পাশাপাশি টিকাগ্রহণকারীর নাম, শেষ চারটি সংখ্যাও থাকে তাঁর আধার কার্ডের। এছাড়াও সেখানে আপনার পরের ডোজ কবে নেওয়ার কথা তাও উল্লেখ করা থাকে। নিজের টিকাকরণের সার্টিফিকেট ডাউনলোড করে নেওয়া যায় কোউইন পোর্টাল কিংবা আরোগ্যসেতু অ্যাপ থেকে।