বার্ধক্য জীবনে কমে আসে ‘মজা’, এমন ধারণা যদি থাকে তাহলে বদলাতে হবে তা বোধহয়। অন্তত তেমনই বলেছে এক ব্রিটিশ গবেষণা। যদি অনীহা থাকে যৌনতার প্রতি , দীর্ঘ সময় সঙ্গমেও লিপ্ত হননি সঙ্গীর সঙ্গে এমন পঞ্চাশোর্ধ মানুষের উপর একটি গবেষণা চালিয়ে প্রমাণ করে দিল ইংল্যান্ডের কোভেন্ট্রি বিশ্ববিদ্যালয়, “বুদ্ধি বিকাশের অন্যতম একটি সহায়ক উপাদান যৌনতা , বিশেষ করে এর উপকারিতা সর্বাধিক বয়স্কদের মধ্যে।” গবেষক হেলে রাইট জানিয়েছেন, ” ভুল ধারণা লালন-পালন করে চলছেন যারা মনে করেন বয়স্করা যৌন-সঙ্গমে অক্ষম তাঁরা। এই ‘ট্যাবু’কে আমাদের উচিত ভেঙে ফেলা। শারীরিক এবং মানসিক, উভয় ক্ষেত্রেই পঞ্চাশোর্ধ মানুষের উপর নিয়মিত যৌনতা যে কী দারুণ প্রভাব ফেলে তা সবাইকে জানানো উচিত, এই বিষয়ে সচেতন করা উচিত সকলকে।”
জার্নালস অব জার্নোটলজি অর্থাৎ বার্ধক্যবিদ্যা, সিরিজ বি: ইংল্যান্ডের কোভেন্ট্রি বিশ্ববিদ্যালয়ের এই গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে সাইকোলজিক্যাল অ্যান্ড সোশ্যাল সাইন্স-এ। হেলে রাইট ৫০ থেকে ৮৩ বছরের ৭৩ জনের মধ্যে এই গবেষণা করেন। গোটা গবেষণাটি সম্পাদনা করেন গবেষক এক বছরে পঞ্চাশোর্ধ মানুষের যৌন সম্পর্ক, স্বাস্থ্য এবং সামাজিক কর্মের উপর ভিত্তি করেই। এখানে নজরে রাখা হয়েছিল মৌখিক কথাবার্তায় স্পষ্টতার মত বিষয়কেও। একটি পরীক্ষায় দেখা হয়- এই পঞ্চাশোর্ধ মানুষ ৬০ সেকেন্ডের মধ্যে কতগুলি পশুপাখির নাম বলতে পারছে। দেখা গিয়েছে, যৌনতায় সাবলীল যারা এবং স্বাভাবিক তাঁরাই এই টেস্টে ভাল পারফর্ম করেছে।
গবেষণালব্ধ ফল প্রকাশের পর গবেষক রাইট জানান, ” একটি কারণ এবং তার ফলের উপর দাঁড়িয়ে রয়েছে প্রতিটি সম্পর্কই। সেক্স সেখানে একটি জ্ঞান অন্বেষণকারী বিষয়। এবং গবেষণার মাধ্যমেই খুব কাছাকাছি যেতে পারি আমরা এমন প্রতিটা বিষয়ের এবং যুগান্তকারী আবিষ্কারের পথে হাঁটতে পারি পুরনো ধারনা ভেঙে।”