শ্বশুরবাড়ি গিয়ে ভাগ্য খুলল। আচমকাই কোটিপতি হলেন জামাই জোড়া লটারির দৌলতে। সকালে জিতলেন কোটি টাকা! আবার বিকেলে জিতলেন কয়েক লাখ! একদিনে জোড়া লটারি জিতে রীতিমত চমক দিলেন পশ্চিম বর্ধমানের জামুড়িয়ার এক ব্যক্তি! তাও আবার শ্বশুরবাড়ির অঞ্চলে গিয়ে! তবে রাতারাতি এতো টাকার মালিক হয়ে বেড়েছে উদ্বেগ। নিজের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে শেষমেশ পুলিশের কাছে সাহায্য চাইলেন হঠাৎই কোটিপতি হওয়া জামাই।
পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোল পুরনিগমের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা শ্রীধর রুইদাস। সিকিউরিটি গার্ডের চাকরি করেন এক বেসরকারি সংস্থায়। তবে মাঝে মধ্যেই লটারির টিকিট কেটে ভাগ্য পরীক্ষার নেশা ছিল তাঁর। কিন্তু আগে কখনোই ভাগ্য চমকায়নি শ্রীধরের। অবশেষে স্থান পরিবর্তন করে শ্বশুরবাড়ির এলাকায় এসে ভাগ্য খুলল তাঁর। রাতারাতি বড়লোক হয়ে উঠলেন জামাই। শনিবার সকালে শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে এসে সেখানকার স্থানীয় বাজারে এক লটারির দোকান থেকে লটারির টিকিট কাটেন শ্রীধর। দুপুর দেড়টা নাগাদ খবর আসে যে সে সেই লটারির প্রতিযোগিতায় প্রথম পুরস্কার এক কোটি টাকা জিতেছেন। তবে তার পরও লটারির টিকিট কাটা থামাননি। সবাই উৎসাহ দেওয়াতে বিকেলে আবারও লটারির টিকিট কাটেন তিনি। আর এতেও চমক কাকতালীয় ভাবে তাতেও সফল হন জামাই। জেতেন প্রায় কয়েক লক্ষ টাকা।
পর পর দু’বার লটারি জেতার আনন্দে আত্মহারা শ্রীধর শ্বশুরবাড়ির সবাইকে খবরটি জানান। আস্তে আস্তে খবরটি চাউর পড়ে পুরো এলাকায়। বিষয়টি নিয়ে শুরু হয় তুমুল আলোচনাও। অবশেষে নিরাপত্তারহীনতায় ওই ব্যাক্তি জন জামুড়িয়া থানায়। পুলিশ সূত্রে খবর, তারা ওই ব্যক্তির উপর যাতে কোনো সমস্যা না আসে সেই দিক দেখবে, তার নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবে।
দারিদ্রের সংসারে একবারে কোটির উপরে টাকা জিতবেন, তা কখনও ভাবতেও পারেননি শ্রীধর রুইদাস। শ্রীধর রুইদাস জানিয়েছেন তাঁর দুই মেয়ে রয়েছে। যত টাকা তিনি লটারিতে পুরস্কার পেয়েছেন তা মেয়েদের ভবিষ্যতে যাতে সুরক্ষিত হয় সেই খাতে ব্যবহার করতে চান। তাঁদের উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করবেন। পরিবার ও মেয়েদের নিয়ে সুন্দর এবং সুস্থ জীবন যাপনই এখন তার একমাত্র লক্ষ্য। শ্রীধরের এই লটারি যেতো ভীষণই আনন্দিত তার পরিবারের সদস্যরা।