দীর্ঘ বছর দুয়েকের করোনা মহামারীর কালে স্কুল পুরোপুরি বন্ধ ছিল আর মাঝে যদিওবা খোলে তা আবারো বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু কেন্দ্র আর রাজ্য সরকারের কড়া পদক্ষেপে এবং অবশ্যই মানুষের সচেতনতায় করোনা পরিস্থিতি বেশ অনেকটাই স্বাভাবিক হয়েছে। তাই স্বভাবতই স্কুলও খুলে গেছে আবারও। অনেকেই একটা বিশেষ অভিযোগ করেছেন যে বেশিরভাগ পড়ুয়াই এই এতদিন স্কুল বন্ধ থাকার কারণে অনেক খারাপ পথে চলে গেছেন। যা শনিবার দিন হয়ে যাওয়া এই ঘটনায় স্পষ্ট হয়েছে আবারও।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দকুমার থানা এলাকায় এই অদ্ভুত ঘটনাটি ঘটেছে। ওই নবম শ্রেণীর ছাত্র ও তার স্কুল ব্যাগে থাকা বন্দুকটি আটক করে থানায় নিয়ে আসে নন্দকুমার থানার পুলিশ গিয়ে। এখনও পর্যন্ত যা খবর পাওয়া গেছে , যে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দকুমার থানার শ্রীধরপুর গ্রামের বাসিন্দা শেখ ইয়াসিন নবম শ্রেণীর ছাত্র। শেখ ইয়াসিন নবম শ্রেণীর ছাত্র বাসুদেবপুর মহারাজা নন্দকুমার হাইস্কুলের। ওই নবম শ্রেণীর ছাত্র স্কুল খোলার পর থেকে প্রতিদিনের মতই শনিবারও স্কুলে গেছিল। কিন্তু ওই ছাত্রকে দেখে তার ক্লাসের অন্য ছাত্র এবং শিক্ষকের খটকা লাগে। নেশাজাতীয় দ্রব্য পাওয়া গেছে তার থেকে। আর যেই মুহূর্তে ওই ছাত্রের ব্যাগের ভেতরে তল্লাশি চালানো উদ্ধার হয় বন্ধুক।
নন্দকুমার থানায় স্কুলের তরফ থেকেই খবর দেওয়া হয়। বন্দুক সহ ওই ছাত্রকে পুলিশ পৌঁছে আটক করে। পুলিশ সূত্রে খবর, ক্লাস নাইনে পড়ে ইয়াসিন শেখ। নন্দকুমার থানার শ্রীধরপুর এলাকায় তার বাড়ি।
প্রাথমিক তদন্তের পর জানা গেছে যে ওই বন্দুকটি বুলেট ব্যবহারে নয়। বন্দুকটি ব্যবহার করা হয় কোন মেলা বা অনুষ্ঠানে বেলুন ফাটানো জন্য। পুলিশ প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে ওই ছাত্রকে। পাশাপাশি থানায় ডেকে পাঠিয়েছে পুলিশ ওই ছাত্রের বাবাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য। নন্দকুমার বাজারে লোহা-লক্কড়ের দোকান রয়েছে ওই নবম শ্রেণির ছাত্রের বাবা। ওই ছাত্র ওই বন্ধুক কোথায় পেল ? কি কাজে লাগে বন্দুকবাজ ছাত্রের ? বন্দুক সম্পর্কে কি পরিবারের লোকেরা কিছু জানেনা? একাধিক প্রশ্ন উঠে আসছে।