বলা হয় যে ভালোবাসার যুগলের জুটি উপর থেকেই কোনো ঐশ্বরিক শক্তির দ্বারা তৈরী হয়ে আসে। কিন্তু কখনও কখনও এমন ঘটনা ঘটে যা থেকে এই তত্ত্বে বিশ্বাস করা যায় না। মনে হয় না উপরওয়ালার এতে কোনো হাত আছে। উল্টে মনে হয় এটি মানুষ নিজেই এই জাতীয় সম্পর্কে জড়ায়। রাশিয়ার এক দম্পতির দিকে তাকালে অন্তত তাই মনে হয়। এখানে এক নারী তার স্বামীকে ডিভোর্স দিয়ে তার সৎ ছেলেকে বিয়ে করেছেন। এবার তিনি তার সন্তানের মা হতে চলেছেন। আসুন এই আশ্চর্যজনক প্রেমের গল্প সম্পর্কে বিস্তারিত জানি।
২ বছর আগে বিয়ে
‘দ্য মিরর’-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, রাশিয়ায় বসবাসকারী ৩৭ বছর বয়সী মেরিনা বালমাশেভা (Marina Balmasheva) একজন সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সর। ২ বছর আগে যখন তিনি দ্বিতীয়বার বিয়ে করেছিলেন, তখন তিনি অনেকটাই লাইমলাইটে এসেছিলেন। তার লাইমলাইটে আসার কারণ ছিল তার বর। প্রকৃতপক্ষে, যার সাথে তিনি দ্বিতীয়বার বিয়ে করেছিলেন তিনি ছিলেন তার ২৩ বছর বয়সী সৎপুত্র ভ্লাদিমির শ্যাভিরিন (Vladimir Shavyrin)। মেরিনা বলেছেন যে স্বামী আলেক্সি শাভিরিনের (Alexey Shavyrin) সাথে বিবাহবিচ্ছেদের পরে তিনি তার সৎপুত্র ভ্লাদিমিরের প্রেমে পড়েছিলেন। কিছুদিন সম্পর্কে থাকার পর দুজনেই বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন।
১০ বছর পর প্রথম স্বামী থেকে ডিভোর্স
মেরিনা, ভ্লাদিমিরের সাথে প্রেমের বিষয়ে কথা বলার সময় বলেছিলেন যে তিনি আলেক্সিকে বিয়ে করার পরে ২০০৭ সালে ভ্লাদিমিরের সাথে দেখা করেছিলেন। সেই সময় ভ্লাদিমিরের বয়স ছিল মাত্র ৭ বছর। সে তখন তার সৎ মা। বিয়ের ১০ বছর পরে, মেরিনার আলেক্সির সাথে বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছিল। কিছু সময় পরে মেরিনা ভ্লাদিমিরের প্রেমে পড়েন এবং তারপরে বিবাহ বিচ্ছেদের ৩ বছর পরে তিনি সৎ ছেলে ভ্লাদিমিরের সাথে বিয়ে করেছিলেন।
দ্বিতীয় বিয়ের পর ওজন কমে যায়
মেরিনা বলেছেন যে ভ্লাদিমিরের সাথে বিয়ের সময় তার ওজন বেশি ছিল। এমন পরিস্থিতিতে তিনি ভ্লাদিমিরের মতন করে নিজেকে গড়তে পিটতে শুরু করেন। এরপর তার ওজন কমাতে শুরু করেন। ওজন কমানোর পর নিজেকে আকর্ষণীয় দেখাতে তিনি প্লাস্টিক সার্জারিও করেছিলেন। ইনস্টাগ্রামে মেরিনার ফলোয়ার রয়েছে ৬ লাখেরও বেশি। সময়ে সময়ে, তিনি এখানে তার স্বামীর সাথে তার ছবি শেয়ার করেন। সম্প্রতি, তিনি ইনস্টাগ্রামে তার গর্ভাবস্থার কথা মানুষকে জানিয়েছেন। এই মহিলার কাহিনী শুনে মানুষ বেশ হতবাক।
