এ যেন কোন ভয়ের সিনেমার দৃশ্য। অনন্তের পথে পাড়ি দিতে চলেছেন তিনি। অন্তেষ্টিক্রিয়া চলছে তার। উপস্থিত সব আত্মীয়-স্বজন। আচমকা যা ঘটলো পিলে চমকে দেওয়ার মতো।
এক মহিলা তাঁর মৃত্যুশয্যা থেকে আচমকাই জেগে উঠলেন। খাস নিজেরই শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে কফিনে শায়িত অবস্থায় হঠাৎ অতিথি অভ্য়াগতদের সামনে চোখ খুললেন তিনি। হৃদযন্ত্র স্তব্ধ করে দেওয়ার দৃশ্য দেখে উপস্থিত সকলেরই হার্ট অ্যাটাক হয়ে যাবার কথা কিন্তু ঘটেছে ঠিক উল্টো। নিজের শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে জেগে ওঠার পর আতঙ্কিত হয়ে যান ওই মহিলাই। ভয়ে চিৎকার করতে থাকেন তারপরই ফের অচেতন হয়ে যান। জানুন পুরো ঘটনাটা।
একজন মহিলা যাকে ডাক্তাররা ভুলভাবে মৃত ঘোষণা করেছিলেন সে তার নিজের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া চলাকালীন একটি কফিনে জেগে ওঠার পর বিষয়টি অনুধাবন করে প্রচণ্ড শক থেকে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।রাশিয়ার কাজানের ফাগিলিউ মুখমেতজিয়ানভ, মাত্র ৪৯ বছর বয়সে নিজের বাড়িতেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়। বিধ্বস্ত স্বামী ফাগিলি মুখমেতজিয়ানভ (বয়স ৫১ বছর) স্ত্রী মারাত্মক বুকের ব্যথায় কষ্ট পেলে তাকে নিয়ে হাসপাতালে পৌঁছালে তাকে জানানো হয় তার স্ত্রী হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে।
যাইহোক, শোকগ্রস্ত স্বামী স্ত্রীকে চূড়ান্ত বিদায় জানাতে একটি কফিনে স্ত্রীকে শায়িত করে তার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার ব্যবস্থা করেছিলেন। যা শেষ অব্দি একটি মারাত্মক সিদ্ধান্ত বলে প্রমাণিত হয়। স্ত্রীকে মৃত ঘোষণা করার দুদিন পরে এই অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া চলছিল। কিন্তু আচমকাই স্ত্রী উঠে বসে। চারপাশে দেখে তার শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠান চলছে। পার্থনা চলছে তার নামে। এসব দেখে মারাত্মক শক খেয়ে যায় সে। চিৎকার করতে করতে জ্ঞান হারায়।
মিঃ মুখমেটজিয়ানভ বলেছেন, ‘তার চোখ বিস্ফোরিত হয়ে ওঠে এবং আমরা অবিলম্বে তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসি কিন্তু তিনি আবার মারা যাওয়ার আগে আরও ১২ মিনিটের জন্য আইসিইউতে বেঁচে ছিলেন। পরে অবশ্য সত্যি সত্যি মারা যান দ্বিতীয় বার।’
মহিলার স্বামী আরো বলেছেন “আমি খুব রাগান্বিত এবং উত্তর চাই। যখন তারা বলেছিল সে মৃত, সে মারা যায়নি এবং তারা তাকে বাঁচাতে পারত।’
হাসপাতালের মুখপাত্র মিনসালিহ সাহাপভ বলেছেন, ‘আমরা তদন্ত করছি।’ কীভাবে চিকিৎসকদের এত ভুল হতে পারে তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে হাসপাতাল। স্ক্যালিওয়াগ অ্যান্ড ভ্যাগাবন্ড-এর জ্যাক ওলেসন বলেছেন, এই ধরনের ধাক্কা কল্পনা করা কঠিন। “আমি আশ্চর্য হয়েছি মিঃ মুখমেটজিয়ানভ নিজে হতবাক হয়ে মারা যাননি।”