Dainik Sangbad – দৈনিক সংবাদ
Image default
ট্রেন্ডিং

দীঘা-হলদিয়ায় চোখ রাঙাচ্ছে ইয়াস, ৩০০টি স্কুল ও ৪৬টি শিবিরে সরানো হচ্ছে লোকজনকে

বুধবার দুপুরে ল্যান্ডফল হতে চলেছে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের(Yaas)। প্রতি ঘন্টায় ঝড়টি বইতে হ
পারে ১৫৫ কিলোমিটারেরও বেশি বেগে। তবে এখনও অবধি মনে করা হচ্ছে ইয়াসের বুধবার দুপুরে ল্যান্ড ফল হবে ওড়িশা রাজ্যের পারাদিপ, বালাসোর এবং দীঘার মাঝামাঝি অঞ্চলে। যে কারণে মনে করা হচ্ছে হয়তো বা আমফানের মতন প্রবল ক্ষয় ক্ষতির আশঙ্কা থেকে কিছুটা মুক্তি পেতে পারে দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলা।

আবারও দূর্ঘটনা মা উড়ালপুলে: ডিভাইডারে ধাক্কা লেগে উল্টে গেল দুরন্ত গতির গাড়ি

আবহাওয়া দফতরের আগাম পূর্বভাস অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের(Yaas) প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়বে পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম জেলায়। কিছুটা দাপট দেখা যাবে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাতেও। কিন্তু এই সব জেলা কে ছুঁয়ে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের চলে যাওয়ার কথা ঝাড়খণ্ডের দিকে। কিন্তু ছুঁয়ে চলে গেলেও অতি প্রবল ঘুর্ণিঝড়ের প্রভাবে গোটা দক্ষিণবঙ্গেই প্রবল ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে।

আজ ইতিমধ্যেই পূর্ব মেদিনীপুর জেলার দীঘা, শংকরপুর, মন্দারমনি, তাজপুর এবং হলদিয়ায় শুরু হয়েছে ঝোড়ো হাওয়ার দাপট। সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। পরিস্থিতির আরও খারাপ হওয়ার আগেই পূর্ব মেদিনীপুরের জেলার নিচু এলাকার মানুষজনকে সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। তাদের রাখা হবে ঘুর্নিঝড় ইয়াসের জন্য নির্মিত ৪৬ আশ্রয় শিবিরে। শঙ্করপুর, মন্দারমনি, তাজপুরের মতো জায়গায় বেলা যত গড়াচ্ছে পাল্লা দিয়ে আবহাওয়া ততই খারাপ হচ্ছে। সমুদ্রের ঢেউয়ের উচ্চতা ক্রমশ বাড়ছে।

পূর্ব মেদিনীপুরে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের মোকাবিলায় এলাকা এবং ত্রাণ কার্যের কাজকর্ম তদারিক করেছেন সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র ও মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরি। এছাড়াও ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় নেমেছেন আইজি, ডিআইজি, এসি, ডিএম-সহ ইত্যাদি দফতরের একাধিক আধিকারিকরা। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় পুর্ব মেদিনীপুরের দীঘায় পৌঁছেছে নৌবাহিনীর একটি দল। এছাড়াও পথে নেমেছে ডিজিস্টার ম্যানেজমেন্ট, এনডিআরএফ টিম।

মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত পূর্ব মেদিনীপুর জেলাজুড়ে ৪ হাজার নিচু অঞ্চলের মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় মোট ৩০০টি স্কুল ঘরে ঘূর্ণিঝড়ে আক্রান্ত মানুষদের রাখার ব্যাবস্থা করা হয়েছে। দীঘা এবং হলদিয়া অঞ্চলের পর্যন্ত ৪৬টি বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র রয়েছে। ওইসব কেন্দ্রতে ঘুর্নিঝড় পরবর্তী আশ্রয় স্থল হিসাবে উপযোগী করে তোলা হয়েছে। সেখানে মজুত করা হচ্ছে শুকনো খাবার। রান্নার ব্যবস্থাও করা হয়েছে।

Related posts

‘যৌনকলা’র জন্য বেছে নিন বাড়ির সৃজনশীল স্থানগুলি

News Desk

বিয়ের পর জানতে পেরেছেন স্ত্রীর পুরুষাঙ্গ আছে! বিচার চাইতে আদালতে গেলেন স্বামী

News Desk

পর্নোগ্রাফির নেশা ভাঙতে পারে বিবাহিত সংসার! কেন? জবাব দিচ্ছে গবেষণা

News Desk