আবার বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে উঠল চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ। তার জেরে মৃত্যু হয়েছে এক বৃদ্ধার। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে সিঁথি এলাকায়। অভিযোগ, ওই বৃদ্ধা রোগীকে একের পর এক চড়া ওষুধ থাওয়ানো হচ্ছে। যা শরীর নিতে পারেনি। তার জেরেই হার্ট অ্যাটাক করে মারা যান তিনি।
জানা গিয়েছে, বরাহনগরের টবিন রোডের বৃদ্ধা পুষ্পরানি চক্রবর্তী(৭২)। তিনি শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে সিঁথির বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। গত ২২ নভেম্বর তিনি ভর্তি হন। সুগার নীচে নেমে গিয়ে বমি শুরু হয়েছিল। এরপরই হঠাৎ তাঁকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। তারপর ভেন্টিলেশন। শুক্রবার রাতে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
এই বৃদ্ধার স্বামী প্রদ্যোত্কান্তি চক্রবর্তী বলেন, ‘আমাকে ও বলছিল একসঙ্গে ১০টা ট্যাবলেট খেতে দিয়েছিল। আমি তো জীবনে ১০টা ট্যাবলেট একসঙ্গে খাইনি কোনওদিন।’ আর ছেলে পার্থ চক্রবর্তী বলেন, ‘আমরা বারবার জানতে চেয়েছিলাম যে ওষুধগুলো কেনা হচ্ছে সেগুলো খাওয়ানো হচ্ছে কি না। হাসপাতালের পক্ষ থেকে কোনও জবাব দেওয়া হয়নি।’
যদিও বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাফাই, বিষয়টি ঠিক নয়। একসঙ্গে কোনও রোগীকে ওতগুলি ওষুধ খাওয়ানো হয় না। এক্ষেত্রেও হয়নি। তবে আজ বরাহনগর থানার পুলিশের উপস্থিতিতে রোগীর পরিজনদের ডেকে পাঠানো হয়েছে। তাঁদের অভিযোগ শোনা হবে। তারপর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বক্তব্যও শোনা হবে। এই ঘটনায় এখন কাঠগড়ায় সিঁথির বেসরকারি হাসপাতাল।