মানুষের কত কি সখ হয় তা বলা মুশকিল। যেমন বিহারের এই ব্যাক্তি। পেশায় রেল চালক এই ব্যাক্তি সখ হচ্ছে বিয়ে করা। সাধারণ মানুষের, জামাকাপড় বা প্রসাধনীর সখের মতই এনার স্ত্রীয়ের সখ। এই কারণেই এই রেলচালক একটি নয়, দুটি বিয়ে করেছেন এবং তৃতীয়বারের জন্যও ছাদনাতলায় যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। কিন্তু তৃতীয়বার বিয়ের মন্ডপে পৌঁছানোর আগেই তার সখের মূল্য চুকাতে হলো তাঁকে। জানুন পুরো বিষয়টা কি!
আসলে ওই ব্যাক্তি দুটো বিয়ের পর তৃতীয় বিয়ের তোড়জোড় শুরু করলে দ্বিতীয় স্ত্রী স্বামীর অপকর্মের কথা জানতে পেরে পুলিশের শরণাপন্ন হন। বর্তমানে এই রেল চালকের বিরুদ্ধে পাটনার দুলহিনবাজার থানায় অভিযোগ দায়ের করা হলেও তিনি পুলিশের নজর এড়িয়ে পলাতক রয়েছেন।
পুলিশ বিষয়টি তদন্ত শুরু করার পাশাপাশি লাগাতার তল্লাশি চালাচ্ছে ওই ব্যক্তির খোঁজে। পুলিশ জানায়, চার সন্তানের পিতা ওই ব্যাক্তি এই অজয় এই পর্যন্ত দুটি বিয়ে করেছেন। পাটনা নিকটবর্তী দানাপুরের খাগৈলের নানচকের বাসিন্দা এই বিবাহিত রেল কর্মচারী মহিলাদের নিজের প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ে করত। ঘটনাটি প্রকাশ্যে এসেছে পালিগঞ্জ মহকুমার দুলহীন বাজার থানার অঞ্চল থেকে। জানা যাচ্ছে যে দুলহিন বাজারের সিঘড়ার বাসিন্দা রামপ্রবেশ পাসোয়ানের মেয়ে গুঞ্জা কুমারীর ২০২০ সালের ১২ই মার্চ বিয়ে হয়েছিল খাগৌল থানার নানচাকের বাসিন্দা ভরত পাসোয়ানের ছেলের সাথে। উলর সূর্য মন্দিরে বিয়ে হয় তাদের।
বিয়ের সময় রামপ্রবেশ পাসওয়ান কে পাত্র অজয় সম্পর্কে বলা হয়েছিল যে ছেলেটি অবিবাহিত এবং পেশায় একজন রেল চালক। এই কারণে রাম প্রবেশ বিয়ে দিতে আগ্রহী হয়। পাত্রী গুঞ্জার বাবা রামপ্রবেশ তার সামর্থ্য অনুযায়ী যৌতুকের যাবতীয় জিনিসপত্র দিয়ে বিয়ে দেন। দ্বিতীয় স্ত্রী গর্ভবতী হওয়ার পর জানা যায় অজয় বিবাহিত। নির্যাতিতা জানিয়েছেন, অজয় দিল্লিতেই পোস্টড ছিলেন।বিয়ের পর প্রায় ছয় মাস দিল্লির একটি ভাড়া বাড়িতে দ্বিতীয় স্ত্রী কে রাখে । যখন সে গর্ভবতী হয়ে যায়, তখন তাঁকে তার বাবার বাড়িতে রেখে আসে যেখানে তাদের সন্তান জন্ম নেয়। এর পরে হঠাৎ তার স্ত্রী জানতে পারেন যে তার স্বামী অজয় পাসওয়ান চাকরি পাওয়ার আগেই বৈশালীর রাঘোপুরে তার একটি বিয়ে হয়েছিল এবং সেই স্ত্রীর থেকে তার তিনটি সন্তানও রয়েছে।
এ বিষয়ে স্ত্রী আপত্তি জানিয়ে শ্বশুর বাড়িতে গেলে স্বামীর বাবা-মা ও বোন তাকে ঘরে ঢুকতে বাধা দেয় এবং মারধর করে ফিরে যেতে বাধ্য করে। এ বিষয়ে হুমকি দিতে গিয়ে তৃতীয় বিয়ের কথাও বলেন স্বামী। এরপর বিচারের দাবিতে মহিলা দুলহিনবাজার থানায় পৌঁছান। এই অভিযোগের ভিত্তিতে থানা থেকে শ্বশুর-শাশুড়ি ও স্বামীকে ছয়টি নোটিশ পাঠানোর পরও কেউ থানায় আসেননি। এ ক্ষেত্রে থানার ওসি অশোক কুমার জানান, এক বিবাহিত মহিলার কাছ থেকে একটি আবেদন এসেছে, যার ভিত্তিতে পুলিশ বিষয়টির তদন্তে নিয়োজিত রয়েছে। বর্তমানে ঘটনার আসামি পলাতক রয়েছে।