রিল লাইফ নয় রিয়েল। সিনেমায় তাজমহল বিক্রির কথা শোনা যায়। এবার সেরকমই বিক্রি হয়ে গেল আস্ত এক রেল ইঞ্জিন। বিহারের পূর্ণিয়া কোর্ট স্টেশনের ঘটনা।
বারাবাঁকিতে এরকম এক এফআইআর দায়ের করা হয়। এনিয়ে তদন্তে নামেন সঙ্গীতা কুমারী নামে এক ইনস্পেক্টর। একটু খোঁজ খবর নিতেই তাঁর চোখ চানাবড়া। লক্ষ্য করেন সত্যিই বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে আস্ত এক লোকোমোটিভ।
দুর্নীতির সীমা কতদূর হতে পারে তার পরত খুলতে থাকে তদন্তে। এতবড় এক কাণ্ডের মাথা রাজীব রঞ্জন ঝা নামে এক ইঞ্জিনিয়ার। সমস্তিপুর লোকো ডিজেল শেডের দায়িত্বে থাকা রাজীব বিক্রি করে দেন ওই স্টিম ইঞ্জিনটি। পূর্ণিয়া কোর্ট স্টেশনে বহু দিন ধরে দাঁড় করানো ছিল ওই ইঞ্জিনটি। ভুয়ো বিক্রির অর্ডার দেখিয়ে বিক্রি করে দেওয়া হয় ইঞ্জিনটি।
বিক্রি করা শুধু নয়, গ্যাস কাটার দিয়ে ইঞ্জিনটিকে কেটে টুকরো করে তা বিক্রি করে দেওয়া হয় গত ১৪ ডিসেম্বর। ওই ঘটনার সঙ্গে রাজীব ছাড়াও জড়িয়েছিলেন অ্য়াসিস্ট্য়ান্ট ইঞ্জিনিয়ার সুশীল যাদব। এনিয়ে প্রতিবাদ করেন পূর্ণিয়া আউটপোস্ট ইনচার্জ এম এম রহমান। কিন্তু তাঁকে এক ভুয়ো অর্ডার দেখান রাজীব।
এদিকে ওই ঘটনা নিয়ে সন্দেহ হওয়ায় এফআইআর করেন রহমান। আরপিএফের তদন্তে দেখা যায় ইঞ্জিনটি বিক্রি করার কোনও অর্ডারই দেওয়া হয়নি। এরপর খোঁজ শুরু হয় ওই টুকরো করা ইঞ্জিনের। শেষপর্যন্ত ওই দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছে ২ ইঞ্জিনিয়ার-সহ মোট ৭ জনের।