টিউশন পড়ানোর সময় ছাত্রীকে বাধ্য করতেন অশ্লীল ভিডিও দেখতে। হরিয়ানার জিন্দে টিউশনি শিক্ষকের লজ্জাজনক কীর্তির কথা সামনে এসেছে। ছাত্রীকে টিউশনি পড়ানোর সময় জোর করে পর্ন দেখানোর অভিযোগে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে জেলা পুলিশ। ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীর বাবাকে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগেও মামলা দায়ের করা হয়েছে।
নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে মহিলা থানা পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ওই ছাত্রী অঙ্কুর নামে এক ব্যক্তির কাছে টিউশন পড়তে যেত। তিনি জানান, বাড়িতে টিউশনি পড়ানোর সময় অঙ্কুর ওই ছাত্রীকে জোর করে পর্ন ভিডিও দেখাতো। মেয়েটি বাড়িতে গিয়ে তার বাবা-মায়ের কাছে এই বিষয়ে অভিযোগ জানায়। এরপর মেয়েটি টিউশনে যাওয়া বন্ধ করে দেয়।
ছাত্রী টিউশনে যাওয়া বন্ধ করে দিলে অন্য উপায় অবলম্বন করে ওই গৃহ শিক্ষিক।অভিযোগে বলা হয়েছে, ঘটনার পর ওই ছাত্রী টিউশনে যাওয়া বন্ধ করলে অঙ্কুর নামক ওই শিক্ষক ছাত্রীর পিছু করতে থাকে। একদিন ছাত্রীর বাবার গাড়ির সামনে বাইক রেখে তাকে মেরে ফেলার হুমকিও দেয় অঙ্কুর। থানায় অভিযোগ করা হয় তারপরে। পুলিশ একটি মামলা দায়ের করে। আসামি বর্তমানে পলাতক, যার গ্রেফতার তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
এদিকে অযোধ্যায় মাওয়াই এলাকার এক নাবালিকা গ্রামের এক যুবকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনেছে। নির্যাতিতার বাবা থানায় অভিযোগ করে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। নির্যাতিতার বাবা পুলিশকে জানিয়েছেন, আমার নাবালিকা মেয়ে প্রায়ই গ্রামের একটি মুদি দোকানে জিনিসপত্র নিতে যেত। কিছু দিন আগে মেয়ে দোকানে জিনিস আনতে গিয়েছিল। এ সময় অভিযুক্ত তার ভগ্নিপতির সাথে মিলে মেয়ের সঙ্গে তার ছবি তোলেন।
এডিট করার পর, অশ্লীল ছবি তৈরি করে এবং নির্যাতিতা কে সেই মর্ফড ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করার হুমকি দিয়ে তার সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক স্থাপন করতে বাধ্য করে। অভিযুক্তের এসব কর্মকাণ্ড সহ্য করতে না পেরে নির্যাতিতা তার বাবা-মাকে পুরো ঘটনা জানায়। সৈয়দপুর ফাঁড়ির ইনচার্জ প্রদীপ কুমার যাদব জানান, তিনি ছুটিতে রয়েছেন। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।