ভারতে গত কয়েক মাসে আছড়ে পড়েছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। করোনায় দ্বিতীয় ঢেউ সামাল দিতেই নাজেহাল প্রশাসন। তার উপর সকলের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলছে করোনা ভাইরাসের তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারতে করোনা সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউ আসার যথেষ্ট আশঙ্কা রয়েছে। তবে কবে তা আছড়ে পড়বে, এই নিয়ে নিশ্চিত করে কিছু জানায়নি বিশেষজ্ঞরা। জার্মানি, স্পেন এবং ইউরোপের একাধিক দেশে চলছে করোনা সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউ।ভারতেও সেই সম্ভবনা প্রবল।
ভারতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ফলে সব থেকে বেশি প্রভাবিত হয়েছিল মহারাষ্ট্র এবং দিল্লী। এই কারণেই কোভিডের থার্ড ওয়েভের কথা মাথায় রেখে আগাম প্রস্তুতি নিচ্ছে উদ্ধব ঠাকরে প্রশাসন। গত কয়েকদিনে করোনা সংক্রমণের গ্রাফ নিম্নমুখী। কিন্তু কম সংক্রমনের মধেও চিন্তায় রাখছে করোনা আক্রান্তদের মধ্যে ক্রমবর্ধমান শিশুদের সংখ্যা।
আশঙ্কা বাড়ছে চিকিৎসকদের। রিপোর্ট অনুযায়ী, এই মাসেই মহারাষ্ট্রের আহমদনগর জেলাতে যত জন কোভিড আক্রান্ত তার মধ্যে ৮ হাজারই শিশু। তথ্য বলছে, মোট আক্রান্তের মধ্যে ১০ শতাংশই শিশু। শিশুদের বেশি আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন চিকিৎসকরা।
আশঙ্কা হচ্ছে সম্ভবত বাচ্চাদের করোনার তৃতীয় ঢেউ বেশি আক্রমণ করতে পারে। তার থেকেই আগাম সতর্ক হচ্ছে মহারাষ্ট্র প্রশাসন। যাতে তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়লে হসপিটাল বেড, অক্সিজেন কোনো কিছুর অভাব না হয়।করোনা সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউ পরিস্থিতি কি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠবে? এর থেকে বাঁচার উপায়ই বা কী?বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন– মাস্ক পড়া, হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবহার, সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে চলার মত করোনা বিধি গুলো মেনে তো চলতে হবে খুব কড়া ভাবে।
পাশাপাশি জোর দিতে হবে টিকা করণের ওপর।যত দ্রুত সম্ভব সকলকে ভ্যাকসিন দেওয়া যাবে, ততই কমবে করোনা সংক্রমনে জীবনের ঝুঁকি। তার সাথে তৈরি থাকতে হবে হসপিটাল পরিকাঠামো নিয়ে। তাহলেই তৃতীয় ঢেউয়ের ধাক্কা অনেকটাই কাটিয়ে ওঠা যাবে।