করোনার জন্য স্কুল কলেজ বন্ধ থাকছে তাই বেশিরভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভার্চুয়াল ক্লাস চলছে। এরকমই একদিন অনলাইনে ক্লাস চলছে। পড়ুয়াড়াও এই ভার্চুয়াল মাধ্যমে পড়াশুনো করছে। ঠিক এমন সময় আচমকাই পর্ন সাইটের নানা ছবি ও অশ্লীল ভিডিয়ো ঢুকে পড়লো মোবাইল এবং কম্পিউটার। এরকম অবস্থায় পড়ুয়া থেকে অভিভাবক এবং শিক্ষক শিক্ষিকারাও অপ্রস্তুতে পরে যাচ্ছেন। এক নাম করা স্কুলে ঘটেছে এমন ঘটনা শিলিগুড়িতে। এরকম পরিস্থিতি সবাইকে এতই ভাবিয়ে তুলেছে যে রীতিমত অভিভাবকরা পড়ুয়াদের পাশে বসে থাকছেন। কিন্তু, এমন চলতে থাকলে শিশুদের মানসিক বিকাশে প্রভাব পড়তে পারে বলে শিক্ষকদের আশঙ্কা। তাই স্কুল খোলার দাবিতে সরব হচ্ছেন অনেক অভিভাবক স্বাস্থ্যবিধি মেনে।
অনলাইনে ক্লাস শুরু হয়েছে করোনার জেরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি বন্ধের পর থেকে। কিন্তু শিলিগুড়ির বেশ কয়েকটি স্কুলে সম্প্রতি অনলাইন ক্লাস চলাকালীন সমস্যায় পড়তে হচ্ছে পড়ুয়াদের। লিঙ্ক ব্যবহার করে সেখানে ঢুকে পড়ছে বহিরাগতেরা অনলাইনে ক্লাস চলাকালীন। পর্ন সাইটের অশ্লীল ছবি ও ভিডিয়ো এরপর চালিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। দেখা যাচ্ছে, খুদে পড়ুয়ারাও থাকছে ক্লাসে সে সময়।
দু’দিন আগে অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়াদের অনলাইন ক্লাস চলছিল মাটিগাড়ার একটি বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের। অভিযোগ, পর্ন সাইটের ভিডিয়ো হঠাৎ করেই পাঠিয়ে দেওয়া হয় সেখানে। পরে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অভিভাবকেরা বিষয়টি জানাজানি হতেই। মাটিগাড়ার ওই স্কুলে পড়াশোনা করছে শিলিগুড়ি মহকুমার এক সরকারি স্কুলের সহকারী শিক্ষকের মেয়ে। শিক্ষকের কথা, “ অনলাইনে ক্লাস চলছিল মেয়ের। তখন দেখি পর্ন সাইটের কিছু ভিডিয়ো কেউ পাঠিয়ে দিয়েছে। কেউ বা কারা এ সব করেছে অনলাইন ক্লাসের লিঙ্ক ব্যবহার করে। সন্তানদের পড়াশোনা এমন ভাবে কি হতে পারে?’’ তাঁর দাবি, ‘‘এ বার সরকারের স্কুল খোলার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় হয়ে গিয়েছে।”
ওই শিক্ষক এমন ঘটনায় সমাজ মাধ্যমেও সরব হয়েছেন। যেখানে একই অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছেন আরও অনেকেই বলে জানান। মাটিগাড়ার ওই স্কুলের শিক্ষক প্রশান্ত ধরের কথা, “পড়ুয়াদের দেওয়া অনলাইন ক্লাসের লিঙ্ক নানা ভাবে অসাধু লোকের হাতে চলে যাচ্ছে। তারা এ সব কাজ করছে।”
সাইবার ক্রাইম থানাতেও বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানানোর চিন্তাভাবনা রয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষের। তবে মৌখিক এমন বেশ কিছু অভিযোগ শিলিগুড়ি সাইবার ক্রাইম থানার আধিকারিকদের কাছে এসেছে লিখিতভাবে অভিযোগ না পেলেও বলে খবর। যা পুলিশের তরফে খোঁজখবরও নেওয়া হচ্ছে।