টানা প্রায় চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা মাতলা নদীর বুকে ভাসতে দেখা যাচ্ছিল এক মহিলাকে। এই দৃশ্য চোখে পড়ে স্থানীয় মৎসজীবীদের। দূর থেকে এক মহিলাকে স্থির ভাবে ভেসে থাকতে দেখে মৃতদেহ বলেই ভাবেন তারা। তাড়াতাড়ি খবর দেওয়া হয় পুলিশের কাছে। পুলিশ এসে পৌঁছয় সেখানে। তৎপর হয় মহিলার দেহ উদ্ধারে। মৎস্যজীবীদের নৌকায় উঠেই মাঝ নদীতে দেহের কাছে পৌঁছয় পুলিশ। তখনও বাকি ছিল চমকের। মাঝ নদীতে পৌঁছে মহিলার হাত ধরে টান দিতেই চোখ খোলেন মহিলা। দেখা যায় মৃত নয়, জীবিতই আছেন মহিলা। নৌকায় তুলতেই নাকি সোজা হয়ে উঠে বসেও পড়েন তিনি। মৃতদেহ উদ্ধার করতে এসে এমন অভিজ্ঞতায় চমকে গেছেন পুলিশ থেকে মৎসজীবী উপস্থিত সকলেই। সোমবার সকালে চমকপ্রদ এই ঘটনাটি ঘটেছে ক্যানিংয়ের মাতলা নদীর গোলাবাড়ি জেটি ঘাট এলাকায়। জানা গেছে এরপর মহিলা কে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গিয়ে পরীক্ষা করানো হয়। অল্প প্রাথমিক চিকিৎসার পর সম্পূর্ন সুস্থ স্বাভাবিক অবস্থায় বাড়ী ফিরে গিয়েছেন তিনি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই মহিলার নাম গান্ধারী মণ্ডল। তিনি গোলাবাড়ির হাটখোলা অঞ্চলের হালদার পাড়ার বাসিন্দা। আগে নাকি ওই মহিলা নদীতে মাছ ধরতেন। কিন্তু অনেকদিন হলো এই কাজ তিনি করেন না। কিন্তু এই দিন হঠাৎই আরো কয়েকজন মহিলাকে নদীতে মাছ ধরতে দেখে তিনিও সেখানে আসেন এবং কিভাবে মাঝ নদীতে পৌঁছে যান সেই বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলতে পারেননি। নিউজ 18 বাংলা কে গান্ধারী মণ্ডল জানান তিনি নাকি জোয়ারের টানে চলে গিয়েছিলেন এত দূর। এরপর জলেই ভাসতে থাকেন তিনি।
স্থানীয় মৎস্যজীবীরা বলেন, এইভাবে নড়াচড়া না করে এক মহিলা কে ভাসতে দেখে জলে ডুবে মৃত্যু ভেবে দ্রুত গোলাবাড়ি পুলিসকে খবর দেওয়া হয়। তবে ভাসতে ভাসতে নদীর ওই দিকে চলে যাওয়ায় মহিলার দেহ বাসন্তী থানাার অধীনে চলে যায়। এই নিয়ে হয় টানাপোড়েনে অনেকক্ষণ পার হলে অবশেষে মৎস্যজীবীদের ওই মহিলাকে উদ্ধার করতে যেতে অনুমতি দেয় পুলিস। মহিলাকে নদী থেকে নৌকায় তুলতেই দেখা যায় বেঁচে আছে তিনি। প্রাথমিক চিকিৎসার পর ওই মহিলাকে বাড়ি ছেড়ে দিয়ে এসেছেন পুলিশ। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।