উত্তরপ্রদেশের হারদোই জেলায় আখের ক্ষেত্রে মর্মান্তিক ভাবে খুন করা এক যুবকের দেহ উদ্ধার হয়েছে। যুবককে কুড়ুল দিয়ে খুন করা হয়েছে বলে পুলিশের অনুমান। হত্যার অভিযোগের তির দুই কাকার দিকে। অনুমান অভিযুক্তের বোনের সঙ্গে নিহতের প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে। সম্পর্কের ক্ষেত্রে ওই মহিলা মৃতের মাসী বলে জানা যাচ্ছে। মাঠে যুবকের মৃতদেহ পড়ে থাকার খবর পায় হারদোইয়ের বেনীগঞ্জ কোতোয়ালি থানা পুলিশ। ২০ বছর বয়সী কে. রামকুমার, বেনিগঞ্জের বাসিন্দা, কুড়ুলের আঘাতে তিনি নিহত হন। খুনের ঘটনায় মাধপাই গ্রামের বাসিন্দা মোহিত ও রাহুল নামে দুই প্রকৃত ভাইকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
খুনের কারণ জানিয়ে অভিযুক্তরা জানান, রামকুমারের সঙ্গে তার বোনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তারা বলেন “রামকুমার আর আমরা আত্মীয়। সম্পর্কের ক্ষেত্রে আমার বোন রামকুমারের মাসী হয়। আমরা কয়েকবার রামকুমারকে আমাদের বোনের সাথে ঘনিষ্ঠতা করতে নিষেধ করেছি। কিন্তু সে কিছুতেই কথা শোনেনি। কয়েকদিন আগেও আমরা তাকে আমাদের বোনের সাথে দেখা করতে দেখেছি। এ কারণে রামকুমারকে হত্যার পর লাশ মাঠে ফেলে দেওয়া হয়।”
পুলিশ সুপার রাজেশ দ্বিবেদী জানিয়েছেন, অবৈধ সম্পর্কের জেরে খুন করা হয়েছে যুবককে। হত্যার পর লাশ মাঠে ফেলে দেওয়া হয়। দুর সম্পর্কের ভাইপোকে খুনের অভিযোগে পরস্পর সম্পর্ক থাকা দুই কাকাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দুজনের কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত কুড়ালও উদ্ধার করা হয়েছে। হত্যা মামলা দায়ের করে আসামিদের কারাগারে পাঠানোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
বোনকেও মেরে ফেলতো:
পুলিশ বলছে যে মোহিত এবং রাহুল তাদের বোনকেও হত্যা করতে যাচ্ছিল, কিন্তু তার আগেই পুলিশ তাদের দুজনকে হেফাজতে নিয়েছিল।