কিছুদিন ধরেই শহরের বিভিন্ন এটিএম (ATM) মেশিনে চলছিল এক বিরাট জালিয়াতি। এই ঘিরে রীতিমত মাথায় হাত ব্যাঙ্ক কর্মীদের। শহরের বিভিন্ন এটিএম থেকে গায়েব হয়ে যাচ্ছিল লাখ লাখ টাকা। অথচ এটিএম রয়েছে একদম অবিকৃত। তাতে কোনো আঘাত বা এটিএম ছোয়ার চিন্হ মাত্রও। অথচ রহস্যজনকভাবে টাকা উধাও এই মেশিনের ভিতর থেকে। ঘটনার তদন্তে নেমে হিমশিম খেয়েছিল লালবাজার থানার গোয়েন্দারাও। এই সিসিটিভি ফুটেজ দেখার যুগেও এক অভিনব উপায়ে জালিয়াতি, তদন্তকারীদেরও ধাঁধাঁয় ফেলেছিল।
কিন্তু হল না শেষ রক্ষা, পুলিশের জালে ধরা পরল চার সন্দেহভাজন এই শহরজুড়ে এটিএম জালিয়াতি কাণ্ডে । পুলিশ জানিয়েছে ধৃতদের নাম হল মনোজ গুপ্তা (৪০), নবীন গুপ্তা (৩০), বিশ্বদ্বীপ রাউত, আবদুল সইফুল মণ্ডল। এদের মধ্যে নয়াদিল্লি থেকে গ্রেফতার করা হয় মনোজ, নবীন কে এবং কলকাতা থেকে বাকি দুই ধৃতদের ধরা হয়। এটিএম জালিয়াতি কাণ্ডে জড়িত বাকী সমস্ত অপরাধীদের খোঁজে চলছে তল্লাশি। এই ধরনের ঘটনার জাল গুটাতে দেশ জুড়ে সক্রিয় হয়েছে গোয়েন্দাদের শাখা।
সূত্রের খবর, গোটা ভারতে ছড়িয়ে রয়েছে এটিএম জালিয়াতি কাণ্ডের একটি চক্র। এই বিরাট চক্রেরই মধ্যে পরছে এই চার সদস্য। এদের জেরা করেই কলকাতা পুলিশ বাকি অভিযুক্তদের সন্ধান করছে। নয়াদিল্লির ফতেহপুর বেরি এলাকায় মনোজ ও নবীনের বাড়ি। ইতিমধ্যে আদালতেও তোলা হয়েছে তাদের ট্রানজিট রিমান্ডের জন্য। আদালতে পেশ করা হয়েছে কলকাতা থেকে ধৃত বিশ্বদীপ ও সইফুলকেও। আদালতের কাছে জেরা করার জন্যে কলকাতা পুলিশ তাদের হেফাজতে চেয়ে আবেদন করেছে।
প্রসঙ্গত কলকাতা জুড়ে বেশ কিছু এটিএম থেকে গত কিছুদিন ধরেই সক্রিয় হয়েছিল এই চক্র। এটিএম না ভেঙ্গে কোনো ম্যাজিক গ্যাজেট সফটওয়্যারের সাহায্যেই চলছিল এই রহস্যজনক ভাবে টাকা গায়েবের কাণ্ড কারখানা। তবে অবশেষে পার পেলেন না দুষ্কৃতীরা।