ভয়াবহ কপ্টার দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে দেশের প্রথম প্রতিরক্ষা প্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়াতের। মৃত্যু হয়েছে রাওয়াতের স্ত্রী সহ হেলিকপ্টারের আরও ১২ জন যাত্রীর। আজ সন্ধ্য়েই দিল্লিতে নিয়ে আসা হয়েছে সকলের নিথর দেহ। তাঁদের মরদেহ নিয়ে যাওয়ার সময় দুর্ঘটনার মুখে পড়ল অ্যাম্বুলেন্স। বৃহস্পতিবার তামিলনাড়ুর ওয়েলিংটন থেকে সুলুর নিয়ে যাওয়ার সময় সেই দুর্ঘটনা ঘটে। একাধিক অ্যাম্বুলেন্সে দেহগুলি নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল এদিন। তার মধ্যে একটি অ্যাম্বুলেন্স দুর্ঘটনার শিকার হয়। সঙ্গে সঙ্গে অন্য অ্যাম্বুলেন্সে সরিয়ে নেওয়া হয় দেহ। এ ছাড়া ওই কনভয়ে থাকা একটি পুলিশ ভ্যানও এ দিন দুর্ঘটনার মুখে পড়ে। আহত হন একাধিক পুলিশ কর্মী। তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
দিল্লী নিয়ে আসার আগে ওয়েলিংটনের মাদ্রাজ রেজিমেন্টাল সেন্টারে শেষ শ্রদ্ধা দেওয়া হয় সস্ত্রীক বিপিন রাওয়াত সহ নিহত সেনা কর্মীদের। এরপর দেহ নিয়ে যাওয়া হয় সুলুর ঘাঁটিতে। পালাম টেকনিক্যাল এয়ারপোর্ট হয়েই আজই দিল্লি পৌঁছয় দুর্ঘটনায় প্রয়াতদের দেহ।
সন্ধে ৭.৫৫ নাগাদ দিল্লিতে পৌঁছল জেনারেল রাওয়াত সহ ১৩ জনের মৃতদেহ। বায়ুসেনার সি-১৩০ জে সুপার হারকিউলিস এয়ারক্রাফ্টে করে দেহ আনা হয়।
পালাম এয়ারবেসে নিহত সেনা সর্বাধিনায়ক বিপিন রাওয়াতকে শেষ শ্রদ্ধা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানে মৃতদের পরিবারে সঙ্গেও কথা বলতে দেখা যায় প্রধানমন্ত্রীকে। দেশের প্রথম সিডিএসকে শেষ শ্রদ্ধা জানালেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। তিন বাহিনীর প্রধান এদিন প্রতিরক্ষা প্রধানকে শেষ শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। এছাড়া শেষ শ্রদ্ধা জানালেন প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী অজয় ভট্ট ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল।
ভারতীয় সেনা জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত বিপিন রাওয়াত, তাঁর স্ত্রী মধুলিকা রাওয়াত ও ব্রিগেডিয়ার এলএস লিড্ডারের মরদেহ শনাক্ত করা গেছে। বাকিদের দেহ শনাক্তকরণের কাজ চলছে। এই প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার আগে পর্যন্ত মরদেহ আর্মি বেস হাসপাতালের মর্গে রাখা থাকবে। যথাযথ মর্যাদায় প্রত্যেকের শেষকৃত্যের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।
জানা গেছে, কাল পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। জেনারেল বিপিন রাওয়াতের দেহ বাড়িতে শায়িত থাকবে। সকাল ১১ টা থেকে জেনারেলকে শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন নাগরিকরা। বেলা ২টোয় রাওয়াতের মরদেহ শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হবে।